রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মেঘনার ভাঙণ থেকে বাঁচতে ভোলায় কয়েক হাজারো মানুষের দোয়া মোনাজাত
মেঘনার ভাঙণ থেকে বাঁচতে ভোলায় কয়েক হাজারো মানুষের দোয়া মোনাজাত
ভোলা সংবাদদাতা : উত্তাল মেঘনা নদী ক্রমেই যেন ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। মেঘনার ভয়াবহ থাবায় নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ভোলার বিস্তীর্ণ এলাকা। তীব্র স্রোত ও ভাঙনের মুখে পড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি সার্ভিস। ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মেঘনার তীরে একদিকে চলছে জিইও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা। অন্যদিকে ভাঙন থেকে বাচাঁর জন্য চলছে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।
নদী ভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষার জন্য শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ইলিশা ইউনিয়নের বিশ্বরোড চত্বরে গণ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জংশন বাজারের সাত শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সহস্রাধিক ব্যবসায়ী ইলিশা ইউনিয়ন ও রাজাপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ গণ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। জংশন বাজার কমিটি এ গণ দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করে। এতে মাওলানা ফজলুল করিম, মাওলানা ইয়াকুব আলী ও মাওলানা জয়নাল আবদীন দোয়া পরিচালনা করেন।এ বিষয়ে জংশন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরে আলম পাটওয়ারী বলেন, মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য এ গণ দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুধু জিইও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো যাবেনা। ভাঙন রোধ করতে হলে এবং নদী ভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষা করতে হলে মেঘনার তীরে সিসি ব্লক নির্মানসহ পরিকল্পিতভাবে টেকসই বাঁধ নির্মান করতে হবে। আর এই কাজ করতে হবে সেনাবাহিনী দিয়ে। তা না হলে নদী ভাঙন থেকে ভোলাকে রক্ষা করা যাবেনা।ভাঙনকবলিত রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বার (৭০) বলেন, আমার বাড়ি একবার নদী ভাঙছে। এখন আবার নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে আমার বাড়ি মনে হয় থাকবেনা।
একই গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্থানীয় ব্যসায়ী সিরাজ (৬৫) বলেন, প্রতিদিনই মেঘনা নদী রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের প্রায় ৫০ মিটারের মত ভাঙছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে ইলিশা ইউনিয়নের সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক, উত্তর রামদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামীক ফাউন্ডেশনসহ দুইটি মসজিদ। এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে এসব প্রতিষ্ঠান শুক্রবার রাতেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।