শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিক্ষা | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহন প্রাথমিকের শিক্ষকরা ত্রি-ধারায় বিভক্ত শিক্ষক নেতারা অধিকাংশ সময় অফিসে থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ভেঙ্গে পরার আশংকা
লালমোহন প্রাথমিকের শিক্ষকরা ত্রি-ধারায় বিভক্ত শিক্ষক নেতারা অধিকাংশ সময় অফিসে থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ভেঙ্গে পরার আশংকা
লালমোহন বিডিনিউজ ডেস্ক: লালমোহন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ত্রি-ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান রেখে তারা শিক্ষা অফিসে বেশীরভাগ সময় ব্যায় করেন। সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অফিসের দালালে পরিনত হয়েছেন নামধারী অনেক শিক্ষকনেতা। খোজ নিয়ে জানাযায় উপজেলা শিক্ষা অফিসের উপড় চেপে বসা তথাকথিত লালমোহন শিক্ষক সমিতির সভাপতি দক্ষিন তাড়াগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেলায়েত,সমিতির সম্পাদক দক্ষিন বালুরচর প্রাঃ বিদ্যাঃ সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তর ভেদুরিয়া বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিম নিজ বিদ্যালয়ে না গিয়ে বেশিরভাগ সময় অফিসে থেকে বিভিন্ন বরাদ্ব থেকে মাশোয়ারা আদায় করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এরই মধ্যে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে তিন তিনটি সমিতি গঠন করেন। বেলায়েত মিয়ার নেতৃত্বে লালমোহন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,মালেক ফরাজীর নেতৃত্বে প্রধান শিক্ষক সমিতি ও ডাওরী হাট প্রাঃ বিদ্যালযের মামুনের নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষক সমিতি নামকরে নতুন নতুন সমিতি গড়ে উঠায় লালমোহন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ভেঙ্গে পরার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এদিকে গত অর্থ বছরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষা অফিসারকে সাথে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তিন নেতা স্লিপ প্রকল্পে ১৮৭ টি বিদ্যালয়ে ১৩শ টাকা করে আড়াই লক্ষ, , প্রাক প্রাথমিক উপকরন ক্রয়ের জন্য ৫শ করে ১৯১টি বিদ্যালয়ে থেকে ৯৫ হাজার ও বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২০টি বিদ্যালয় এবং টয়লেট নির্মানের জন্য ১২টি বিদ্যালয়ের বরাদ্ব কৃত টাকা থেকে ৫/৭ হাজার করে তারা উৎকোচ গ্রহন করেন। এছাড়াও রিসোর্স সেন্টারে প্রভাব খাটিয়ে নামে বেনামে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের নাম দিয়ে ব্যাপক টাকা আত্বসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্বে। সরকারী বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়ে নিজ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকে অফিসে বসে অনৈতিক কর্মকান্ড করে যাওয়ায় সাধারন শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারন শিক্ষকরা বলেন,এই অসাধু শিক্ষক নেতাদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে এই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে।