বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার চরফ্যাসনের বিদ্যুৎ এর লাইনম্যান আলমগীরের খুটির জোড় কোথায় ?
ভোলার চরফ্যাসনের বিদ্যুৎ এর লাইনম্যান আলমগীরের খুটির জোড় কোথায় ?
বিশেষ প্রতিনিধি :ভোলার চরফ্যাসন ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিষ্টিবিউশন কোম্পানীর লাইনম্যন আলমগীরের খুটির জোড় কোথায় ?এমন প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে । তাদের একটাই প্রশ্ন যে আলমগীর এত অনিয়ম দূর্নীতি আর ভোলা জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এবং জামাত শিবিরের মদতদাতা হয়ে কি ভাবে এখন পর্যন্ত চাকুরীতে বয়াল তবিয়তে রয়েছে। কি এমন ক্ষমতা আলমগীরের যে তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা। গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়া আলমগীরের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরলেও কোন অদৃশ্য কারনে আলমগীরের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকায় বর্তমানে চাঞ্চলতা বিরাজ করছে।
তথ্য ও অনুসন্ধানে জানাযায়, লাইনম্যান আলমগীর বিদ্যুৎ অফিসকে দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে। গ্রাহকদেরকে নানাভাবে হয়রানি সহ বিদ্যুৎ এর কাজ বাস্তাবে বাস্তবায়ন না করে কাগজে কলমে বাস্তাবায়ন করে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ও একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
লাইনম্যান আলমগীর প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর চাকুরীতে কর্মরত থেকে অফিসের জেনেরাটর ভিতর থেকে তামার তার বিক্রি,পাইব কেটে বিক্রি,ব্যাটারী বিক্রি, বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ট্রান্সফর্মার বিক্রি, অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে নিয়মের বাহিরে গ্রাহকদেরকে সংযোগ দেওয়া সহ বিদ্যুৎ অফিসকে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করছেন এই বি”ক্ষণ আলমগীর। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
সূত্র আরো জানায়, আলমগীরের অনিয়ম আর দূর্নীতির বিরুদ্ধে কোন কর্মকর্তা বাধাঁ দিলে আলমগীর ঐ কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলাসহ সহ বিভিন্ন হয়রানি করেন। এই কারনে তার ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।
ঐ এলাকার একাধিক গ্রাহক জানায়, আলমগীরকে টাকা দিলে সংযোগ পেতে কোন কিছই লাগেনা ,বিলও পরিশোধ করতে হয় না । আর টাকা না দিলে সকল কাগজপত্র দিলেও বিদ্যুৎ এর সংযোগ পাওয়া যায় না।
নানা অনিয়ম আর দূর্নীতির বিষয়ে আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আপনারা আমার পিছনে লাগলেন কেন ?
একই ব্যাপারে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবেল কুমার দে, আলমগীরের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন আশ্বাস দিলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আলমগীরের সকল দূর্নীতি বন্ধ করে,সরকারী নিয়ম অনুযায়ি গ্রাহকদেরকে বিদ্যুৎ ব্যাবহারের ব্যবস্থা করে দিবেন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা করছেন চরফ্যাসন উপজেলা বাসি।