শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অনুমােদনহীন গোস্ত : দেখার কেউ নেই!
লালমোহনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অনুমােদনহীন গোস্ত : দেখার কেউ নেই!
নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনের সদর বাজারের কয়েকটি গোস্তের দোকানে প্রকাশ্যে অনুমোদনহীন গোস্ত বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি পশু জবাইয়ের আগে পৌর কতৃপক্ষের নির্ধারিত পশু ডাক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে পশু জবাই করার কথা থাকলেও সেই নিয়মের তােয়াক্কা না করেই গোস্ত বিক্রি করছে বাজারের বিসমিল্লাহ গোস্ত ঘরের মালিক জসিম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের প্রায় গোস্তের দোকানে ঝুলিয়ে রাখা গোস্তে পশু ডাক্তারের নিরীক্ষা সিল থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা এভিনিউ এলাকার বিসমিল্লাহ গোস্ত ঘরে সিলবিহীন গোস্ত বিক্রি করা হচ্ছে। তার দোকান থেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী আরেক দোকানেও এ গোস্ত বিক্রি করা হচ্ছে। এসময় বাজার মনিটরিংয়ে দায়িত্বে কাউকে দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে বিসমিল্লাহ গোস্ত ঘরের মালিক জসিম জানান, পশু ডাক্তার পরে এসে সিল দিয়ে যাবেন। এদিকে দেখা যায়, বিসমিল্লাহ গোস্ত ঘর ও তার কাছ থেকে নেয়া পার্শ্ববর্তী দোকানে ক্রেতা সমাগম। অনুমোদন না থাকার ব্যাপারে অজ্ঞ এসব ক্রেতাদের হাতে গোস্ত তুলে দিচ্ছেন দোকানী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত পশু ডাক্তার (আ: রাজ্জাক) মোঃ জামাল পাটোয়ারী বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে কসাইখানায় জবাইয়ের পূর্বে প্রত্যেকটি পশু রোগমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত কিনা, এটা পরীক্ষা করা হয়। পরে রোগমুক্ত পশুর গোস্ত বাজারে বিক্রির অনুমোদন দিয়ে সিল দেওয়া হয়। তবে ওই দোকানী অসাস্থ্যকর পরিবেশে গোস্ত বিক্রি করছে বিধায় তার গোস্তে সিল দেয়া হয়নি। এসময় সিলবিহীন পশুর গোস্ত জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।]
এদিকে বাজারের পরিবেশ বজায় রাখতে গোস্তের দােকানগুলোর জন্য পৌরসভার নির্ধারিত টল দেয়া থাকলেও সেখানে না বসে যত্রতত্র গোস্তের দোকান সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। আর এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে টলঘর দখল করে পশুর চামড়ার গুদাম বানিয়েছেন আরেক গোস্ত ব্যবসায়ী কবির হাওলাদার। যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।
জানতে চাইলে ও দোকানী কবির হাওলাদার বলেন, টলটি নোংরা হয়ে ছিল, আমি পরিস্কার করে সেখানে চামড়া রাখছি।
লালমোহন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জাহিদুল ইসলাম নবীন বলেন, নির্দিষ্ট পশু ডাক্তারের অনুমোদন ছাড়া কেউ গোস্ত বিক্রি করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে সারা বিশ্বের সাথে করোনায় প্রকম্পিত দেশের ঘরবন্দি থাকা মানুষদের বাঁচাতে নিত্যপণ্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে মনগড়া মূল্য না নিতে পারে সেজন্য সরকারের নির্দেশনানুযায়ী বাজার মনিটরিংয়ের কথা থাকলেও এ উপজেলার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাউকেই বাজার মনিটরিংয়ে দেখা যায় না বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার ফলে প্রকাশ্যে অনুমোদনহীন গোস্ত বিক্রি করা হচ্ছে, যা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আরও আতঙ্কের। তাই এ অনিয়ম বন্ধে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানায় তারা।