
শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে পুলিশের লাঠির আঘাতে শিক্ষকের পা ভাঙ্গার অভিযোগ
লালমোহনে পুলিশের লাঠির আঘাতে শিক্ষকের পা ভাঙ্গার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলাধীন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের আবুগঞ্জ বাজার এলাকায় পুলিশের লাঠির আঘাতে মো: শাহে আলম নামের এক শিক্ষকের পা ভাঙ্গার অভিযোগ উঠলেও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর। আহত মো: শাহ আলম ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড এলাকার মহেষখালী ফজর আলী দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসারত আছেন।
আহত মাদরাসা শিক্ষকের ছেলে শাকিল জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার আবুগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে ফজর আলী দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদ থেকে মাগরিব নামাজ শেষে ঘরে ফেরার পথে তার বাবাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে পুলিশ। পিতার আর্তনাদে তারা ঘর থেকে দৌড়ে আসেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে কাউকে দেখতে না পেলেও হোন্ডাযোগে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে চলে দেখেন তারা।
পরে আহত বাবাকে নিয়ে লালমোহন হাসপাতালে আনলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে আহত বাবাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নেওয়ার পথে ভোলা ফেরিঘাটে বাঁধা দেয় প্রশাসন। পরে লালমোহন থানায় যোগাযোগের মাধ্যমে আহতকে ঢাকায় প্রেরণে সক্ষম হন বলেও জানান শাকিল। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) পবিত্র শবে বরাত থাকায় ওই এলাকায় পুলিশের কােন টহল ছিলনা। সেক্ষেত্রে পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হওয়ার ঘটনা সঠিক নয়। তাছাড়া করোনায় জনসমাগম এড়াতে পুলিশের টহল থাকলেও লাঠিচার্জে বারণ করা হয়েছে।
তবে জনসমাগম রোধে কিশোর যুবকদের ধাওয়া দেয়া হলেও বয়ো বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে লাঠিচার্জ থাক দুরের কথা ধাওয়া করতেও নিষেধ করা হয়েছে বলেও জানান থানার এ কর্মকর্তা।
এদিকে আহত মো: শাহ আলমের চিকিৎসা ব্যয় বহনে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি’র সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।