শুক্রবার, ৩ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | কোর্ট-কাচারী | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | বোরহানউদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » সাংবাদিক নির্যাতনকারী নাবিলের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন
সাংবাদিক নির্যাতনকারী নাবিলের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন
নুরুল আমিন : ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলায় সাংবাদিক নির্যাতনকারী সন্ত্রাসী আদনান রহমান নাবিল হায়দারের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নাবিলকে পুলিশ ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদের আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বোরহান উদ্দিন থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত আসামী নাবিলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দুর্দর্শ এই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের নেতৃত্ব দেন লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আগামী অফিস খোলার তারিখে রিমান্ডের শুনানির তারিখ ঘোষণা করে আদালত নাবিলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, সাংবাদিক নির্যাতনকারী নাবিলকে সুনির্দিষ্ট মামলায় বুধবার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, নির্যাতিত সাংবাদিক সাগর চৌধুরী এ ঘটনায় আদনান রহমান নাবিল ও অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার অজ্ঞাত আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান জানান, মামলার অজ্ঞাত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য আসা চাল চুরির অভিযোগ করেন সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। এর পর তার ওপর বর্বর হামলা চালায় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের ছেলে নাবিল হায়দার। ক্ষোভ মেটাতে ওই সাংবাদিককে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে পেটানো হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সাংবাদিকের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ৩১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। ১ এপ্রিল সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় পুলিশ নাবিলকে গ্রেফতার করে। তবে হামলার ঘটনায় নাবিল ও তার বাবার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।