শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | মুক্তমত | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » মাঠ প্রশাসনকে নাগরিকদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করার নির্দেশ
মাঠ প্রশাসনকে নাগরিকদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করার নির্দেশ
ডেস্ক : মাঠ প্রশাসনকে নাগরিকদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শনিবার (২৮ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যশোরের মণিরামপুরে মাস্ক না পরায় এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) সাইয়েমা হাসানের বৃদ্ধদের কানধরে উঠবস করানোর ঘটনায় তুমুল সমালোচনার মধ্যে মাঠ প্রশাসনকে এমন নির্দেশনা দিল সরকার।
শনিবার সকালে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন গণমাধ্যমকে ডিসিদের এমন নির্দেশনা দেয়ার কথা জানান।
সচিব বলেন, ‘আমরা সকল জেলা প্রশাসকদের বলেছি, এই ধরনের ঘটনার (যেমন, বৃদ্ধদের কান ধরে ওঠবস) যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়। সিনিয়র সিটিজেন তো অবশ্যই, যেকোনো নাগরিকের সঙ্গে যাতে সম্মানজনক আচরণ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যসোসিয়েশনের ফেসবুক পেইজেও জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনাটি আমরা আপলোড করে দিয়েছি।’
করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ রোধে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে যশোরের মণিরামপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানের নেতৃত্বে শুক্রবার (২৭ মার্চ) বিকেল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিনাটোলা বাজারে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়েন প্রথমে দুই বৃদ্ধ। এর মধ্যে একজন বাইসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। অপরজন রাস্তার পাশে বসে কাঁচা তরকারি বিক্রি করছিলেন। তাদের মুখে মাস্ক ছিল না।
এ সময় পুলিশ ওই দুই বৃদ্ধকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে সাইয়েমা হাসান শাস্তি হিসেবে তাদের কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। শুধু তাই নয়, এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই তার মোবাইল ফোনে এ চিত্র ধারণ করেন। এছাড়া পরবর্তীতে অপর এক ভ্যানচলককে অনুরূপভাবে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
শুক্রবার রাতে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।
ইতোমধ্যে সাইয়েমাকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।