বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বোরহানউদ্দিন » বোরহানউদ্দিনে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্বামীর।।লালমোহন বিডিনিউজ
বোরহানউদ্দিনে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্বামীর।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়া প্রেমের অভিযোগ করেছেন স্বামী ফয়েজুল ইসলাম। স্ত্রীর প্রেমিকের করা একাধিক মিথ্যা মামলায় জেল খেটে দিশেহারা ভুক্তভোগী ফয়েজুল ইসলাম।
এমন অভিযোগ তুলে ফয়েজ বলেন, ১৯৯৬ সালে শশীভুষন থানার জাহানপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম বেপারীর মেয়ে সাবিনা ইয়াছমিনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে যোগাযোগ রেখে আসছিলো সাবিনা। কিন্তু তাকে বিভিন্ন পুরুষের সাথে কথা না বলার জন্য অনেকবার বারণ করেন। সর্বশেষ গত রমজানের প্রথম দিন তার পরকিয়া প্রেমিক শেখ ফরিদ নামের একজনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিকের স্ত্রীর কাছেই ধরা পরেন উভয়ে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দিলে পরের দিন তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন।
এ নিয়ে শেখ ফরিদের স্ত্রী ও ফয়েজুল ইসলাম বারবার তাদের দুই জনকে সতর্ক করা সত্বেও তারা কারো কথাই শোনেনা। শেখ ফরিদ ও সাবিনা ইয়াসমিন মিলে উল্টো ফয়েজুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি শ্বশুর শাশুরির নজরে আনলে সাবিনাকে ডিভোর্স দিতে বলেন তারা।
পরে ২০১৯ সালের ১০ ই জুন বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে সাবিনাকে তালাক নামার নোটিশ পাঠানো হয় এবং নিজের কর্মস্থল চট্রগ্রামে ফিরে যান তিনি। এর তিনদিন পর (১৩ ই জুন) সাবিনা লোকজন নিয়ে ফয়জুলের বাসার তালা ভেঙ্গে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং তার বিরুদ্ধে যৌতুক মামলাসহ ৪টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাবিনা।
এ ব্যাপারে সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফয়েজ তার আপন মামাত ভাই। তাদের বিয়ে হয় ১৯৯৬ সালে । তখন আমরা ছিলাম ঢালচরের বাসিন্দা। বিয়ের পরে বর্তমানে ২ টি সন্তান আসে। আমাকে রেখে আরো ৩ টি বিয়ে করেছে। শেখ ফরিদ তার বন্ধু। তিনি তাকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন। এবং ফয়েজের সাথে শেখ ফরিদের লেন-দেন ছিলো। আমার বিরুদ্ধে ৪ টি মামলা করেছে। আমিও ৪ টি মামলা করেছি। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা।
শেখ ফরিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপত্তিকর অবস্থার ছবি থাকতেই পারে।