
মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ | স্বাস্থ্য » জনবলের অভাবে চালু হয়নি ভোলার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল: রোগী ভোগান্তি চরমে।।লালমোহন বিডিনিউজ
জনবলের অভাবে চালু হয়নি ভোলার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল: রোগী ভোগান্তি চরমে।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার আধুনিক ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। নির্মাণ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলেও জনবলের অভাবে আজও চালু হয়নি হাসপাতালটি । ফলে খালি পড়ে রয়েছে বিশাল ভবনটি। অথচ পাশেই ১০০ শয্যার পুরাতন ভবনে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক থাকলেও তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বলেও রয়েছে অভিযোগ।
১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত ভোলা সদর হাসপাতালটি ২০০০ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২০ বছর থেকে ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। বর্তমানে ২২টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও চিকিৎসক রয়েছে মাত্র ১০জন।
চক্ষু, কার্ডিওলোজি, নাক-কান-গলা, প্যাথলজিষ্ট, রেডিওলজিষ্টসহ গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। এছাড়া ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না পেলেও সেখানকার চিকিৎসকরাই বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করছে বলে অভিযোগ করছেন রোগীর স্বজনরা।
সমস্যা সমাধানে পুরাতন ভবনের পাশেই প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭তলা বিশিষ্ট ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ভবনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর অক্টোবরে হাসপাতালটির প্রশাসনিক অনুমোদন হলেও জনবল নিয়োগ না হওয়ায় চালু হয়নি হাসপাতালটি। রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে ভবনটির অবস্থা এখন বেহাল।
চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় ১০০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন দুই থেকে ৩শ’ রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান, হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার।
ভোলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: তৈয়বুর রহমান জানান, এখানে মেডিক্যাল অফিসার এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সংকট সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাছাড়া হৃদরোগ এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ না থাকায় রোগীদেরকে চিকিৎস সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জনবল ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেলেই ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানান, ভোলার সিভিল সার্জন রতন কুমার ডালি।