ফরহাদ নাঈমকে নৌকা প্রতিকে মনোনিত করার দাবি ফরাজগঞ্জবাসীর

লালমোহন প্রতিনিধি : দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলাধীন ৬নং ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। উপজেলার এ অবহেলীত ইউনিয়ন কে আধুনিকায়ন করে উন্নয়নের রোল মডেলে রুপান্তর করতে ফারহাদ নাঈম কে নৌকা প্রতিকে মনোনিত করার দাবি এলাকাবাসীর।
ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মো. অজিউল্যাহ মিয়ার ছোট ছেলে ফারহাদ হোসেন নাঈম। ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের অত্যন্ত জনপ্রিয়, সম্ভ্রান্ত ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান । তাঁর পিতা মো. ওজিউল্যাহ মিয়া ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দীর্ঘ ২৯ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন, সে সুবাধে বাল্যকাল থেকে জনকল্যাণ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের হাতেখড়ি পিতার হাত ধরেই।
যদি ও তাঁর বাবার সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী পদটি কেড়ে নেয় ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তীতে হিংস্র মনষ্কের বিএনপি নেতারা। ১৯৯৮ সালে লালমোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করে সরকারি শাহবাজপুর কলেজ ছাত্র জীবনে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের হাল ধরেন তিনি।
শুধু নিজের জন্মস্থান নয়, পুরো উপজেলার ছাত্রদের সুখে দুখে পাশে থাকার ফলে উপজেলার ছাত্র রাজনীতিতে আশার প্রতিক হয়ে উঠেন তিনি। ২০০০ সালে এইচ এস সি পাশ করার পর ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পটভুমিতে বিএনপির করা একাধিক মিথ্যে মামলা, বিশেষ করে পুলিশের গুলিতে নিহত মুকুল, আল আমিন ও বাস হেলপার নসু হত্যা মামলার সাথে জড়ানোর ফলে এলাকা থেকে নির্বাসিত হতে হয়েছে তাঁকে। গ্রাজুয়েশনের জন্য চলে আসেন ঢাকায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এস সি অনার্স ইন কম্পিউটার সায়েন্স এবং দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম বি এ করেন তিনি।
গ্রাজুয়েশন করার সময়ই ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তিনি। ভোলা জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক, বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্ভুক্ত কদমতলি থানা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রস্তাবিত থাকা ফারহাদ নাঈম শ্রদ্ধা, মেধা আর সততার গুনে কেন্দ্রীয় অনেক নেতার স্নেহভাজন হয়ে উঠেছেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান “ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল” এর “ইয়াং লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট স্কিল প্রোগ্রাম” এ ইয়াং রাজনৈতিক ফেলো হিসেবে সম্মান লাভ করেন এবং দলের অভ্যন্তরে ভালো খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মাষ্টার ট্রেইনার হিসেবে সনদ প্রাপ্ত হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনানুযায়ী নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করার লক্ষ‌্যে লালমোহন-তজুমদ্দিন আসনের তৃণমূলের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেন তিনি।
ফারহাদ নাঈম ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় নিজের পরিবারের মাধ্যমে সর্বাত্মক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। বিশেষ করে লালমোহন তজুমদ্দিন আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এর মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত “পেশকার হাট হোসনে আরা পৌর নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এ বিনামুল্যে জমি প্রদান করে তাঁর পরিবার। এছাড়া ও এলাকাতে সামাজিক ভাবে যে কোন ও ভালো কাজের পিছনে রয়েছে তাঁর উদার ভূমিকা। মসজিদ, মাদ্রাসায় তার রয়েছে মন উজার করা সহযোগিতা। তরুণদের যে কোন ও প্রয়োজনে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন সরল মনে। নিজের এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক কে ঢাকায় চাকরি প্রদানে করেছেন সর্বোচ্চ সহযোগিতা। সর্বোপরি অতি অল্প সময়ে বেশ সুনাম ও পরিচিতি অর্জন করার ফলে তরুণ বয়সেই এলাকাবাসীর কাছে সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব হয়ে উঠেছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়েও বঞ্চিত হন।
এলাকার গুণীজনদের মতে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে যুগে যুগে তরুণরাই অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তাই অবহেলীত ফরাজগঞ্জের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে তরান্বিত করতে ফারহাদ নাইম এর মতো তরুণ নেতৃত্বের হাতছানির অপেক্ষমান তাঁরা। তাই ফারহাদ নাঈমের হাতে তুলে দেয়া হোক নৌকা প্রতিক, এমনটাই দাবি ফরাজগঞ্জবাসীর।