বুধবার, ৫ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় ৫৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত, বহু মানুষ ঘরছাড়া
ভোলায় ৫৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত, বহু মানুষ ঘরছাড়া
ভোলা সংবাদাতা : জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ভোলা সদর, দৌলতখান, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার ৫৫ গ্রামে পানি কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকাল থেকে পানি সরতে শুরু করে। কিন্তু অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়াসহ পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ। বন্যায় কবলিত এলাকায় ৭৫টি মেডিকেল টিম স্থাপনা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ দিন পর ভোলার মেঘনার জোয়ারের চাপ কমে গেছে। এতে পানিবন্দি এলাকায় নতুন করেনি প্লাবিত হয়নি। বিকালের পর থেকে পানি সরতে শুরু করেছে। পানি কমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু বন্যা কবলিতরা। তবে অধিকাংশ পরিবারের রান্না-বান্না বন্ধ হয়ে আছে। পুরু পানি সরতে এখনও ২ দিন সময় লাগবে বলে দুর্গতরা জানিয়েছে।
এদিকে, দুর্গত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে কেউ উচু স্থানে, কেউ খোলা আকাশের নিচে আবার আশ্রয় কেন্দ্রে দিন কাটাচ্ছেন। ফসলি জমি, ঘর ভীটা, পুকুর ও মাছের ঘের হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান সামুগ্রী বিতরন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভোলা সদরের কোড়াহাট বাধের বাইওে গিয়ে দেখা গেছে, পানি বন্ধি হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। সেখানে পানি বাহিত বিভিন্ন রোধ ছড়িয়ে পড়েছে।
গৃহিনী সামসু নাহার, আকলিমা, রিনাসহ অন্যরা জানান, জোয়ারের পানির কারনে পুকুর ও টিউবওয়েলের পানি দুষিত হয়ে গেছে। এতে শিশু ও নারীদের পানি বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা: ফরিদ আহমেদ জানান, জেলার ৭টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে সর্বমোট ৭৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে যাচ্চেন। সেখানে ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম জানান, মঙ্গলবার বিকালে মেঘনার পানি বিপদ সীমার নিচে ছিলো।