
বুধবার, ৫ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ক্লাশ রুমে স্কুল শিক্ষকের নির্যাতনের কারনে, ছাত্রীর আত্নহত্যার চেষ্টা
ক্লাশ রুমে স্কুল শিক্ষকের নির্যাতনের কারনে, ছাত্রীর আত্নহত্যার চেষ্টা
ভোলা সংবাদদাতা: ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুজ্জামান দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষে ক্লাশ চলাকালীন সময়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যক্তিগত বিষয়কে কেন্দ্র করে শারিরিক নির্যাতন ও অ¯্রাব্য গালমন্দ করেছেন। এমনকি এই শিক্ষক গত এক সপ্তাহ যাবৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন সময়ে যৌন হয়রানি করে আসছেন বলেও অভিযোগ করেছেন উপস্থিত ছাত্রীরা।
গত ০৩আগষ্ট সোমবার স্কুল চলাকালনি সময়ে শিক্ষক কামরুজ্জামান দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শারিরিক নির্যাতন করেন। এরকম প্রকাশ্যে ক্লাশরুমে শারিরিক নির্যাতন সইতে না পেরে লজ্জায় ওই ছাত্রী আতœহত্যা করতে চাইলে সহপাঠীরা তাকে আটকে রেখে তার অভিবাবকে খবর দেয়।
স্কুলের ছাত্রীরা জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী ২য় পত্রের শিক্ষক ও দশম শ্রেণীর ক্লাশ টিচার মো: কামরুজ্জামান ছাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছে। তার কাছে প্রাইভেট না পরলে এবং তার কথা না শুনলে ছাত্রীদেরকে ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার শিক্ষক কামরুজ্জামান শ্রেণী কক্ষে সকল শিক্ষার্থীদের সামনে এক ছাত্রীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শারিরিক নির্যাতন করে।
এব্যাপরে ছাত্রীদের অভিবাকরা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার শ্রেনীকক্ষে শারিরিক নির্যাতন বন্ধ করলেও কোনো তোয়াক্কা করছেনা এই শিক্ষক। শুধু তাই নয় ভোলা গালস্ স্কুলে ভিবিন্ন সময়ে কুরুচিপূর্ন শিক্ষদের দিয়ে যৌন হয়রানি হয়ে থাকে ছাত্রীরা। কিন্তু লম্পট এই শিক্ষকদের প্রকৃত বিচার না হওয়ায় এদের দৌরাত্ম দিনদিন বেরেই চলছে। এখানে ছাত্রীরা এদের কাছ থেকে জ্ঞান শিখার জন্য এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়। বিগত দিনে যে সব শিক্ষকরা ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানি করছে তাদের সঠিক সাজা হলে আজ হয়ত ছাত্রীদেরকে এরকম কুরুচিপূর্ন শিক্ষকদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হতোনা।
ভোলার সুশীল সমাজের পক্ষে ভোলা প্রেসক্লাব সম্পাদক সামস্ উল আলম মিঠু জানান, একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কুরুচি সম্পন্ন শিক্ষকদের দ্রুত অপসারন করতে হবে। না হলে ভোলার নারী শিক্ষার প্রতি মানুষের অনিহা দিন দিন বেরে যাবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ক্লাশে শিক্ষার্থীদের মাঝে মধ্যে এভাবে একটু আধটু শাষন করতে হয়।
প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।