বুধবার, ৫ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » এই প্রথম ভোলার আদালতে বিচার প্রত্যাশীদের জন্য বসার স্থান
এই প্রথম ভোলার আদালতে বিচার প্রত্যাশীদের জন্য বসার স্থান
ভোলা সংবাদদাতা: এই প্রথম বারের মত বিচার প্রত্যাশীদের জন্য ভোলার আদালতে বসার স্থান তৈরী করেছে দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জহুরুল আলম।
মঙ্গলবার সকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারী জজ, সাংবাদিক এবং আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্তিতিতে আদালত প্রঙ্গনে ৩৯টি চেয়ার দেয়া হয়। এতে করে দুর দুরান্ত থেকে আসা বিচার প্রত্যাশীদের ভোগান্তির অবসান হলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডিশনাল জজ মঞ্জুল হক খান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাসহিদুল হক, মাজহাবুবুর রহমান, সহকারী জজ আসিম এলাহী, কামাল হোসেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদুর রহমান, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাববিুর রহমান, ভোলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালাউদ্দিন হাওলাদার, সাধার সম্পাদক আশ্রাফ হোসেন লাভু, এ্যাডভোকেট সাহাদাত শাহিন প্রমুখ।
জেলা ও দায়রা জজ জহুরুল আলম বলেন, ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দুর থেকে আসা বিচার প্রত্যাশীরা কোর্টের বারান্দায় এসে দাড়িয়ে থাকে। তাদের জন্য কোন বসার স্থান নেই, যারফলে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই ওই সব জনসাধারনের দুর্ভোগ লাগবে বসার জন্য জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের টেক্সের পয়সায় দেশ ও জাতি চলে তাদের জন্য কিছু করতে না পারলে শিক্ষার কোন মূল্য নাই। সরকারের নিদের্শে বিচার প্রত্যাশীদের জন্য বসার স্থান করা হয়েছে। এ সময় তিনি আদালত সংস্কার ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখার কথাও জানান।
পরে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় কালে বিচারক জহুরুল আলম জানিয়েছেন, আদালতে ৪টি জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও একটি এডিশনাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট পদ শূণ্য থাকার পরও ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যান্ত অন্তত ৫ হাজার মামলার নিস্পত্তি করা হয়েছে।
যারমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার নিস্পত্তি হয়েছে ৯শতাধিক। নারী ও শিশু ট্রাইবুন্যাল. স্পেশাল ট্রাইব্যানাল, দেওয়ানী মামলা নিস্পতি হয়েছে খুবই দ্রুত। এছাড়াও আদালতে যেসব মামলার জট রয়েছে তা নিস্পতি হবে। প্রতিমাসের সরকারী ২২টি কর্মদিবসে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য. প্রতিদিন সরকারী কার্যদিবসে জেলার ৭টি উপজেলা থেকে মামলা নিয়ে বিচারের আশায় ভীড় জমান। ঘন্টার পর ঘন্টা আদালত প্রঙ্গনে দাড়িয়ে থেকে মামলার নিস্পত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হয় তাদের। কিন্তু ওই সব জনসাধানের জন্য চেয়ারে বসার স্থান করে দেয়ায় দীর্ঘ ভোগান্তি অবসান হলো।