মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | মুক্তমত | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » দখল, দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে লালমোহন খাল।।লালমোহন বিডিনিউজ
দখল, দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে লালমোহন খাল।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, সালাম সেন্টু/শাহিন কুতুব : ভোলার লালমোহন লঞ্চঘাট থেকে সদর বাজারের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দিয়ে একসময় যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল করতো। সময়ের পরিক্রমায় লঞ্চঘাটটির নতুন স্থান হলেও ধীরে ধীরে খালটি দখলের পায়তারা করতে থাকে স্বার্থান্বেষী মহল। খাল বাঁচাতে ও দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় দখলের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ফলে ময়লা ফালানোর ডাষ্টবিন হিসেবেও খালটিকে বেছে নিয়েছে কেউ কেউ সাথে কিছু প্রতিষ্ঠান।
খালটিতে লঞ্চ চলাচল না থাকলেও এখান দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লালমোহন বাজার ব্যবসায়ীদের নানাবিধ পণ্য আনা নেয়া করা হয় বলে খালটি বাজার ব্যবসায়ীদের প্রাণের স্পন্দন। শুধু তাই নয়, লালমোহন বাজারের ভিতরে থাকা কয়েকটি পুকুর বালু ভরাট ও মার্কেট হয়ে যাওয়ার ফলে অগ্নিকাণ্ডের মত ভয়াবহ দূর্ঘটনায় পানির জোগান দিতে খালটির বিকল্প নেই।
এ খাল দিয়েই জাহাজের মাধ্যমে সরকারি খাদ্য গুদামেও সরকারি ধান, চাল, গমসহ বিভিন্ন মালামাল আনা নেয়া করা হয়। লালমোহনে চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীক কাজে ওপারের রাঙ্গাবালী, জাহাজমারা, ঢালচরসহ আরও কয়েকটি এলাকার মানুষের জন্য নৌরুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় খালটি। বাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনে এ খালটির ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম।
সর্বপরি খালটি বেঁচে থাকা লালমোহন বাজার ব্যবসায়ীসহ সকলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ময়লা, আবর্জনার স্তুপসহ দখলবাজদের হানার কারণে নাব্যতা হারাচ্ছে খালটি। এসব দখলদারিত্ব সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নাকের ডগায় চললেও তাদের কোনও তৎপরতা দেখছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজারের অনেক ব্যবসায়ী।
তাদের মতে খালটির নাব্যতা হারিয়ে সংকটে পড়লে লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ীরাও সংকটে পড়বে। শুধু তাই নয়, পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে হিমশিম খেতে হবে পৌরবাসীকেও।
তাই ব্যবসায়ীসহ সকলের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব অবৈধ দখল উচ্ছেদ পূর্বক খালটি কে খনন করে দূষণমুক্ত কর হোক। খালের নাব্যতা রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, অবৈধ দখল হওয়া যতগুলো খাল রয়েছে, আমরা সবগুলো খালের প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। জেলা প্রশাসক (ভোলা) মহোদয়ের বরাদ্ধ পাওয়ার পর আমরা উচ্ছেদ অভিযানে নামব।