বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | তথ্যপ্রযুক্তি | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » ই-পাসপোর্ট মুজিববর্ষের প্রথম উপহার-প্রধানমন্ত্রী।।লালমোহন বিডিনিউজ
ই-পাসপোর্ট মুজিববর্ষের প্রথম উপহার-প্রধানমন্ত্রী।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : বহুল প্রতীক্ষিত ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য মুজিববর্ষের প্রথম উপহার ই-পাসপোর্ট।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতের ন্যায় আর গলাকাটা পাসপোর্ট হবে না। ফলে মানুষ আর ধোঁকায় পড়বে না। দক্ষিণ এশিয়ায় আমরাই প্রথম ই-পাসপোর্ট শুরু করলাম। বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সেবাকে যুগোপযোগী করতে ই-পাসপোর্ট প্রদান শুরু করলাম। ই-পাসপোর্টের সঙ্গে ই-গেটও সংযোজিত হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট সংযোজিত হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সেবা সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও একটি মাইল ফলক স্পর্শ করা হলো।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রবাসীরা যখনই আসেন তখন শোনা যায় তারা নানা রকম হয়রানির শিকার হয়। ই-পাসপোর্ট থাকলে ভবিষ্যতে তারা এই হয়রানির শিকার আর কখনো হবেন না।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীকে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, জার্মান দূতাবাস ঢাকার রাষ্ট্রদূত পিটার।
ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
জানা গেছে, সবাই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে দেওয়া হবে এই পাসপোর্ট। পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই সেবা মিলবে।
পরবর্তী সময়ে বিদেশে অবস্থানরতরাও আবেদন করতে পারবেন। ই-পাসপোর্ট হবে ৪৮ ও ৬৪ পাতার। মেয়াদ হবে পাঁচ ও ১০ বছরের। ই-পাসপোর্টের আবেদন অনলাইনে করা যাবে। ২০১৮ সালের ২১ জুন প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এজন্য জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডসের সঙ্গে চুক্তি করে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
চুক্তি অনুযায়ী, তিন কোটি ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে ২০ লাখ জার্মানিতে তৈরি এবং বাকি দুই কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট বই মুদ্রণের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করবে। ই-পাসপোর্ট বই ছাপার যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।