রবিবার, ২ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে দুই ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ মনপুরায় রাক্ষসী মেঘনার ভাঙ্গনের মুখে সাকুচিয়া সংযোগ সড়ক টেন্ডার হওয়ার পরও কাজ করছেনা ঠিকাদার
উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে দুই ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ মনপুরায় রাক্ষসী মেঘনার ভাঙ্গনের মুখে সাকুচিয়া সংযোগ সড়ক টেন্ডার হওয়ার পরও কাজ করছেনা ঠিকাদার
সীমান্ত হেলাল, মনপুরা :ভোলার মনপুরায় পূর্নীমার জোতে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে উপজেলা সদরের সাথে ২ টি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক। এতে উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। ১ আগস্ট শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলা সদর ও সাকুচিয়া ইউনিয়ন সংযোগ সড়কে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
উপজেলার সাথে দুইটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড গত মাসে টেন্ডার আহবান করে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ করছেনা বলে অভিযোগ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর সহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম। শনিবার কাজ শুরুর কথা থাকলেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও কাজ করতে দেখা যায়নি।
জানা যায়, গত মাসে সংযোগ সড়কটি সহ আরোও দুইটি রাস্তার সংযোগ সড়ক রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। এই টেন্ডারগুলো দরপত্রের মাধ্যমে পায় ঠিকাদার সিরাজ মিয়া ও আনোয়ার মিয়া। কিন্তু তারা প্রতিকূল আবহাওয়ার দোহাই দিয়ে কাজ করছেনা।
স্থানীয়রা জানায়, ভেঙ্গে যাওয়া পাকা রাস্তা রক্ষায় তড়িঘড়ি প্রদক্ষেপ গ্রহন না করা হলে উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে দুইটি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ। এতে পানিতে তলিয়ে যেতে পারে উপজেলা সদর সহ ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান জানান, এই বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রদক্ষেপ নিচ্ছি।