শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় কোমেনের প্রভাবে বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত ॥ দুইজন আহত মূল ভূ-খন্ড সহ চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত
মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় কোমেনের প্রভাবে বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত ॥ দুইজন আহত মূল ভূ-খন্ড সহ চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত
সীমান্ত হেলাল, মনপুরা : ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ঘূর্নীঝড় কোমেনের প্রভাবে ধমকা হাওয়ায় ২৫ বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় গাছ পড়ে দুইজন হাফেজ মামুন ও হাফেজ ইসমাইল গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্যোগের রাতে হাজিরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাসেম সর্দার ও মোস্তফার বাড়ির মালামাল ও স্বর্নঅলংকার চুরির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মূল ভূ-খন্ডের দাসেরহাট, সোনারচর, চর মরিয়ম, আন্দিরপাড় এলাকায় ৩-৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল কলাতলী, চরনিজাম, ঢালচর, চরশামসুদ্দিন, বদনার চরে ৫-৬ ফুট প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিচ্ছিন্ন এই উপকূলে ঘূর্ণীঝড় ও ধমকা হাওয়ার গতি বাড়ার সাথে সাথে রেডক্রিসেন্ট কর্মীদের সাইরেন সহ সর্তক করণীয় মাইকিং-এ দ্বীপে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
নি¤œচাপ কোমেন দুপুরে এই উপকূলে আঘাত হানতে পারে এমন ঘোষনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ রেখে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের নৌযান বন্ধ করে দেওয়ায় পুরো দেশের সাথে বিচ্ছিন্ন রয়েছে মনপুরা।
স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধি সাথে আলাপ করে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাত হতে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়ায় কারনে ২৫ বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, হাজিরহাট ইউনিয়নের ১৫ টি, মনপুরা ইউনিয়নের কলাতলী চরে ৩ টি, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরনিজামের ২টি, চরশামসুদ্দিন চরে ২ টি, বদনারচরে ৩ টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে কবির, জাকির হোসেন, হোসেন, হারুন, মফিজুল, বশির, ইউনুচ, বাবলু, মজিরউদ্দিন, আবুল কালাম, মোতালেব এর নাম পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মৎস্য ঘাটগুলোতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা বাধা অবস্থায় রয়েছে। মেঘনায় পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। এতে রামনেওয়াজ বাজারের দুইটি দোকান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে ভাঙ্গনের কবল থেকে বসত ঘর রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। উপজেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে রেডক্রিসেন্ট কর্মী ও কারিতাসের কর্মীদের দেখা গেলেও দেখা মিলেনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান জানান, স্থানীয়দের অবগতির জন্য মাইকিং সহ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষনা করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা ( বিকেল ৩ টা) পর্যন্ত কোন হতাহত ও ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেনি।