মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনের মেঘনায় নিষিদ্ধ সময়ে ও নিধন হচ্ছে ডিমওলা মা ইলিশ !।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনের মেঘনায় নিষিদ্ধ সময়ে ও নিধন হচ্ছে ডিমওলা মা ইলিশ !।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,মাকসুদুর রহমান পারভেজ :ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ানের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর জেলেরা প্রজনন মৌসুমে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মা ইলিশ শিকার করছে হরহামেশে। নিষেধাজ্ঞা মানছেন না মেঘনার জেলেরা। স্বল্পসংখ্যক জনবল ও স্থানীয় ট্রলার দিয়ে ঢিমেতালে চলছে মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষা অভিযান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অসাধু জেলেরা ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী এলাকার কয়েকটি স্পটে মা ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। রবি ও সোমবার দুপুরে মেঘনায় কোন অভিযান চোখে পরেনি জেলেরা হরহামেশে নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করছে।
সরেজমিনে আর ও দেখা যায়, রাত ১০টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত ইলিশ ধরার জন্য মেঘনাবেষ্টিত গাইট্রার পাড়, বুড়িরদোন ঘাট, শাম পাটাওয়ারীর দিঘী সংলগ্ন ঘাট, কাঠির মাথা, পাটাওয়ারীর হাট সংলগ্ন ঘাট, জোরা খাল ঘাট, বাতির খাল ঘাট,কামারের খাল ঘাট, কোব খালী সহ মেঘনার প্রতিটি মাছ ঘাটে জেলেরা নৌকা দিয়ে জাল ফেলতে দেখা যায়। তবে সূত্রে জানাযায়,মেঘনার কাঠির মাথা মাছ ঘাটের মোসলেউদ্দীন মাঝির নৌকা, কামারের খালের জয়নাল, রফিক, জসিম, ফারুক, রহমান, শাহিন মাঝির নৌকা, গাইট্রার খাল ঘাটের সিরাজ,জামাল, খালেকের নৌকা সহ বিভিন্ন মাছ ঘাটে প্রভাব শালীরা মাছ শিকার করছে। তাদের জালে ধরা পড়ছে ডিমওয়ালা মা ইলিশ। পরে নৌকাভর্তি ইলিশ পাইকারদের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা অস্থায়ী জায়গায় এসে মাছ নিয়ে যাচ্ছেন। জানাযায় প্রতি হালি (বড়) ইলিশের দাম ১২/১৩ শত টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সময় বেশি মাছ পাওয়া যায় বলে তাদের লাভের পরিমাণ বেশি হয়, এবং সরকারী সাহায্য নঘন্য,চাহিদার তুলনায় অনেক কম, আবার সব জেলেরা সরকারী চাল ও পূনবাসন পায় না লালমোহনে মোট নিবন্ধধিত রয়েছেন- ১৪ হাজার ৭ শত ৩৩ জন,আর সরকারী সুবিধা (পূর্নবাসন) পায় ১১ হাজার ৫ শত ১৮ জন। তাই তারা সরকারী আইন না মেনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইলিশ শিকার করেন বলে মেঘনার একাধিক জেলে জানান। এ সময় সাধারণ মানুষের কেনাকাটা থাকে হাতের নাগালে এবং কম দামে অনেকে মাছ সংরক্ষণ করছেন,অধরোধ ব্যাতিত সাধারন মানুষ ইলিশের স্বাধ গ্রহন করতে পায় না। মহাজনের দাদনের টাকা এবং পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস এ প্রমর্তা মেঘনা এবং বেশি লাভের আশায় জেলেরা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরছে আর সাধারণ লোকজনসহ দূরবর্তী এলাকার পাইকাররাও কম দামে ইলিশ কিনে নিতে দেখা গেছে।
লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদিপ্ত মিশ্র জানান, আমি এখন অফিসে আছি, কোস্টগার্ড টহলে রয়েছে। আমি শীঘ্রই মেঘনায় অভিযানে নামব।