মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » ঢাকার ৮ ওসিকে বদলি।। লালমোহন বিডিনিউজ
ঢাকার ৮ ওসিকে বদলি।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : দীর্ঘদিন পুলিশের নাকের ডগায় ক্যাসিনো চালানো মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আট থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ডিএমপি সদর দফতরের এক আদেশে এ বদলি করা হয়।
আদেশে ভাটারা থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিককে পল্টন মডেল থানায়, কলাবাগান থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খানকে মতিঝিল থানায়, খিলক্ষেত থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে মিরপুর মডেল থানায়, শ্যামপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানকে কোতোয়ালি থানায়, উত্তরা-পূর্ব থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পরিতোষ চন্দ্রকে কলাবাগান থানায়, বিমানবন্দর থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোক্তারুজ্জামানকে ভাটারা থানায়, সবুজবাগ থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজুল আলমকে শ্যামপুর থানায় এবং বনানী থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনকে খিলক্ষেত থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া একই আদেশে মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওমর ফারুককে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগে, মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দাদন ফকিরকে গোয়েন্দা দক্ষিণ ও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহিদুর রহমানকে গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
আদেশটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে ওসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এর পরপরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জমজমাট জুয়া এবং ক্যাসিনোর আসর পাওয়া যায়।
মতিঝিল থানার পেছনে ঢাকার টি পরিচিত ক্লাবে জুয়ার আসরের বিষয়টি উদ্ঘাটনের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এর জন্য অনেকেই মতিঝিল থানার ওসির দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তোলেন। তবে এবিষয়ে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে ওসির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ক্যাসিনোর বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এছাড়াও সম্প্রতি এক তরুণীকে চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হন পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক। তার পদবি খালি থাকায় সেখানে নতুন ওসি দেয়া হয়েছে।
ডিএমপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বদলি হওয়া ওসিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে গত ১০-১৫ বছর ধরে ঘুরে ফিরে ঢাকায় থাকা এবং অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তবে হুট করে থানায় অনভিজ্ঞ কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে ঢাকার থানাগুলোর ইন্সপেক্টর-তদন্ত এবং ইন্সপেক্টর-অপারেশন্স এবং ইন্সপেক্টর-অ্যাডমিনদের এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।