বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলা বাস মালিক সমিতির রাম রাজত্ব, জিম্মি ক্ষুদ্র পরিবহন মালিকরা।। লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলা বাস মালিক সমিতির রাম রাজত্ব, জিম্মি ক্ষুদ্র পরিবহন মালিকরা।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলা বাস মালিক সমিতির খামখেয়ালীপনা ও অবৈধ আধিপত্যের কারণে বিপাকে জেলার সাধারণ যাত্রীসহ ক্ষুদ্র পরিবহন মালিকরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে কোন মাইক্রোবাস, সিএনজি বা অন্য কোন পরিবহন যাত্রী নিয়ে গেলে পরিবহনের ড্রাইভারকে মারধরসহ গাড়ী ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটানোর একাধিক অভিযোগ উঠেছে বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা থেকে লালমোহনের উদ্দেশ্যে রোগী নিয়ে আসার পথে মাইক্রোবাস আটক করে মো: শাহ আলম নামের এক ড্রাইভারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত শাহ আলম লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলায় আহত শাহ আলম জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে আমার আত্মীয় ফোন দিয়ে বলেন, ভোলা ইলিশা ঘাট থেকে দুজন রোগী ও তার স্বজনদের কে লালমোহনে আনতে হবে। আমি ইলিশা থেকে তাদেরকে নিয়ে যখনই ভোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে, বাস মালিক সমিতির পালিত সন্ত্রাসীরা আমাকে মারধর করে এবং আমার মাইক্রো থেকে রোগী ও স্বজনদের নামিয়ে দিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে পাঠায়।
ম্ইাক্রোবাসে থাকা রোগীর স্বজন মোঃ শিপন জানায়, আমরা ভোলা আসার পর বাস মালিক সমিতির লোকজন আমাদের মাইক্রো আটক করলে আমরা তাদের কাছে অনেক অনুরোধ করার পরেও তারা আমাদের মাইক্রো ছাড়েনি।
বাস মালিকদের এমন আধিপত্যের কারণে আমরা যাত্রীগণ আমাদের সুবিধামত পরিবহনে যাতায়াত পারছিনা।
ম্ইাক্রোবাস ড্রাইভারের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ভোলা বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তা মোঃ আশিক বলেন, মাইক্রোবাসে লোকাল যাত্রী নেয়া নিষেধ। ওই ড্রাইভার লোকাল যাত্রী উঠিয়েছে। এজন্য তার মাইক্রো আটক করেছি।
এদিকে মো. নজরুল ইসলাম নামের এক ভাড়ায় চালিত হোন্ডা ড্রাইভার বলেন, আমার দুই আত্মীয়কে ভোলা থেকে হোন্ডাযোগে আনতে গিয়ে বাস মালিক কর্মচারীদের বাধার শিকার হয়েছি। পরে তাদের হামলার ভয়ে আত্মীয়দের বাসে উঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।
স্থানীয় একাধিক যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ভোলা বাস মালিকগণ সমিতির নামে ভোলায় রাজ রাজত্ব কায়েম করছেন। তাদের জোর জুলুমের কারণে বাস ড্রাইভারগণ বেপরোয়া। তাদের দ¦ারা কোন দূর্ঘটনা ঘটলে এবং এতে কোন লোক মারা গেলে একটি ক্ষুদ্র অংক ধার্য করা হয়েছে। তারা যেন মানুষের জীবন টাকায় কিনে নিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) গুলজার নামের ঘাতক বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে লালমোহন বাজার চৌরাস্তায় মো. শরীফ নামের এক ছাত্র নিহত হয়। এমন অসংখ্য ঘটনা থাকলেও অদৃশ্য কারণে তারা পার পেয়ে যায়।
লালমোহন মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতা মো. আজগর মিয়া বলেন, ইতোপূর্বে আমাদের ড্রাইভার, সুমন, ফরিদ, সবুজ, ইসরাফিলসহ অনেক ড্রাইভারকে তারা মারধর করেছিল। আজ শাহআলমকেও মারধর করেছে। আমরা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তিব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকতার হোসেন মাইক্রো আটকের কথা স্বীকার করলেও মারধরের কথা অস্বীকার করেন।