
শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | কোর্ট-কাচারী | জেলার খবর | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিক্ষা | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের রায়চাঁদ বাজারের উত্তর পাশে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির পরিচালনাধীন “দারুল উলুম রাব্বানিয়া কওমি মাদ্রাসার” কার্যক্রম আদালতরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগ করে ওই মাদ্রাসার পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দীন বলেন, মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির পরিচালনায় পরিচালিত। আমি মুজাহিদ কমিটির রমাগঞ্জ ইউনিয়ন সেক্রেটারী এবং এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সুনামের সাথে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছি।
কিছু কুচক্রীমহল আমার সুনাম নষ্টের জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়িত্বরত পদ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে। তারা জোরপূর্বক মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্ব তাদের হাতে নিয়ে নেয়। যা বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিয়ম বহির্ভূত।
মুজাহিদ কমিটির নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিয়োগবিহীন অবৈধ শিক্ষক দ্বারা শিক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা।
পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন আরও বলেন, জোরপূর্বক দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ায় কুচক্রীমহলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে মহামান্য আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত মাদ্রাসার চলমান কার্যক্রমের উপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আদালতে মাওঃ মোঃ মামুন পিতা মোঃ ফারুক মীর কে ১ নং বিবাদী ও মাওঃ মোঃ নিজামুল ইসলাম পিতা মোঃ শাহেআলম পাটাওয়ারীকে ২ নং বিবাদী করে লালমোহন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করা হয়েছে। যার নং ১৭০/২০১৯ ইং। মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে বলেও জানান মো. জসিম উদ্দিন।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্য কয়েক বছর যাবৎ সুনামের সহিত অভিজ্ঞ পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দীন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু কুচক্রীমহল মাদ্রাসার জমিদাতাদের একটি গ্রুপকে ভূল বুঝিয়ে হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে পরিচালককে মনগড়া বাদ দিয়ে অবৈধভাবে অন্য শিক্ষক নিয়োগ দেন এবং ওই শিক্ষক দ্বারা মাদ্রাসা পরিচালনা করা হয়। যার কারণে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠালগ্ন পরিচালক মো. জসিম উদ্দিনের করা মামলার ভিত্তিতে আদালত থেকে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয় অবৈধ পরিচালনা কার্যক্রমের উপর। কিন্তু আদালত যে কমিটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তার আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এখনো বহাল তরিয়তে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাওঃ মোঃ নিজামুল ইসলাম মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাকে বর্তমান কমিটি নিয়োগ দিয়েছে আমি একজন শিক্ষক আমি মাদ্রাসার কোন ব্যাপারে কিছু বলতে পারিনা। যা বলার কমিটি বলবে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোন নোটিশ পায়নি বলেও জানান এ শিক্ষক।