সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | মুক্তমত | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগে: নিরব কর্তৃপক্ষ।। লালমোহন বিডিনিউজ
চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগে: নিরব কর্তৃপক্ষ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, কামরুজ্জামান শাহীন : ভোলার চরফ্যাশনে বেতুয়া লঞ্চঘাটের পল্টুনটি দির্ঘদিন যাবত ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে পানিতে ডুবে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। বিআইডব্লিউটিএ অব্যবস্থাপনায় ও নিরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ নৌ-পথ যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটের যাত্রী ওঠানামার পল্টুনটি দির্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে মেঘনা নদীতে ডুবে রয়েছে। ঈদ-উল আজহায় হাজার হাজার ঘরমুখি ও যাত্রীদের চরম দূর্ভোগের মধ্যে লঞ্চ থেকে ওঠানামা করতে হচ্ছে।
বর্ষার কাদামাটি ও পল্টুন না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ যেন শেষ নেই। দ্রুত বেতুয়া ঘাটে নতুন পল্টুনের দাবী সাধারণ যাত্রীদের।
রোববার (১৮ আগষ্ট) বিকেল ৪টায় বেতুয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় ও মেঘনা নদীর প্রবল স্রোত এবং ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পল্টুনটি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে অর্ধডুবন্ত অবস্থায় পড়ে আছে। লঞ্চ যাতায়াতের সময় পল্টুনের পাশেই ব্লকের উপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে ভিজে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। পুরুষ ও মহিলা যাত্রীদের নৌকা দিয়ে লঞ্চে উঠতে গিয়েও অনেক সময় পানিতে নামতে হয়। কোমর পরিমান পানিতে নামার ফলে পোষাক পরিচ্ছদের অবস্থা থাকেনা। লঞ্চে উঠে পোষাক বদলাতে হয়। ঢাকা থেকে ঘাটে এসেও অনেকে ভিজা শরীর নিয়ে বাড়ীতে ফিরে। উঠা-নামার সময় বড়ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান একাধিক যাত্রী।
এসব দূর্ভোগ নিয়ে এমভি কর্ণফুলি লঞ্চের ঢাকাগামী যাত্রী নাজমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদে কিছু দিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে যা দেখলাম মনে হয় দেশের সব সম্পদ শুধু লুটপাটই হচ্ছে, কাজের বেলায় কিছুই হচ্ছে না।
এদিকে বিআইডব্লিউটি কর্তৃক নিয়োজিত ঘাট ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রতিদিন তিনটি লঞ্চ ১০-১২ হাজার যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে এই লঞ্চ ঘাট থেকে। ফলে ঢাকাগামী তিনটি লঞ্চের চাপ এবং মেঘনার প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে টার্মিনালটি বিকল হয়ে পড়ে। কয়েকবার মেরামত করা হলেও তা আবারও ভেঙে যায়। তবে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যাতে করে শক্ত ও মজবুত করে টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয় সে জন্য বরিশাল বিআইডব্লিইটসির কর্তৃপক্ষ লঞ্চ টার্মিনালটি পরিদর্শন করেছেন বলে জানান তিনি।
ভোলা জেলা পোর্ট অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টি নৌ-সংরক্ষণ পরিচালনা আঞ্চলিক অফিসার রফিকুল আসলামকে জানিয়েছি। ঈদের আগে লোক পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু ঈদের আগে সম্ভব না হওয়ায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পল্টুনটি মেরামত করা হবে।