মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | চরফ্যাশন | জেলার খবর | ঢাকা | দক্ষিণ আইচা | বিভাগের খবর | মনপুরা | শশীভূষণ | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাসনে ফাইলবন্দী ভিক্ষুক পুর্ণবাসন প্রকল্পের ২৭ লক্ষ টাকা।। লালমোহন বিডিনিউজ
চরফ্যাসনে ফাইলবন্দী ভিক্ষুক পুর্ণবাসন প্রকল্পের ২৭ লক্ষ টাকা।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, চরফ্যাসন প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় ভিক্ষুক পুর্ণবাসন প্রকল্পের ২৭ লাখ ১ হাজার ৮শ ৪ টাকার কার্যক্রম ফাইলেবন্দী হয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ ঘোষণার পূর্বেই হত দরিদ্র ভিক্ষকদের গৃহ নির্মান ও স্বাবলম্বী করার জন্য সরকার দেশব্যাপী এই প্রকল্প চালু করলেও চরফ্যাসনে বরাদ্দ এখনো ফাইলবন্দী। বরাদ্দ থাকা সত্বেও পুর্ণবাসনের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। এখন পযর্ন্ত উপজেলায় একজন ভিক্ষুকও আসেনি পুর্ণবাসনের আওতায়।
আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে কিংবা সামাজিক ভাবে পারিপার্শ্বিকতায় প্রাকসমাজে ভিক্ষাবৃত্তির ধরন চালু হয়। বৃটিশ আমল থেকে শোষণ, বঞ্চনা, দারিদ্র, অশিক্ষা ইত্যাদির কারণে ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। বর্তমান সময়ে কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ ঘোষণার পূর্বে ভিক্ষাবৃত্তির এই সামাজিক ব্যাধি দেশ থেকে নির্মূলের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ভিক্ষুক পুর্ণবাসনের উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান বাস্তবায়নে দেশ ব্যাপী ভিক্ষুক পুর্ণবাসন ও তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে এই প্রকল্প চালু করেন।
চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে ১ দিনের বেতন কর্তন করে সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে চরফ্যাসনে ভিক্ষুক পুর্ণবাসন ফান্ড গঠন করে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে ভিক্ষুক পুর্ণবাসন তহবিলে এই পর্যন্ত জমা পড়েছে সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১দিনের বেতন থেকে ১৩ লাখ ১ হাজার ৮শ ৪ টাকা এবং সরকারি ভাবে অনুদান এসেছে ১৪ লাখ টাকা। ভিক্ষুক পুর্ণবাসনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে সর্বমোট ২৭ লাখ ১ হাজার ৮শ ৪ টাকা বরাদ্দের এই অর্থ এখন ফাইলবন্দি।
কুকরী মুকরী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোকাম্মেল জানান, চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নে ২ জন বয়স্ক ভিক্ষুক ছিল। তাদেরকে কুকরি মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চরফ্যাসন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল হাসেম মহাজন ভয়স্ক ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কুকরি মুকরি ইউনিয়নকে ভিক্ষুক মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা দেন।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মুজিবনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ ওয়াদুদ জানান, তার ইউনিয়নে ভিক্ষুকদের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করা হয়েছে। এই ইউনিয়নে এখন একজন দরিদ্র লোক ভিক্ষাবৃত্তিতে নেই। এই ইউনিয়ন শতভাগ ভিক্ষুক মুক্ত।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভা ও ২১ ইউনিয়নে মধ্যে ভিক্ষুক মুক্ত চর কুকরি-মুকরি ও মুজিবনগর ব্যতীত ১৯ ইউনিয়নে ১ হাজার ৬শ ৭২ জন ভিক্ষুকের নাম তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২শ ৩০ জন ভিক্ষুককে একটি বাড়ী একটি খামার, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে পুর্ণবাসন করা হয়েছে।
চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ভিক্ষুক পুর্ণবাাসন প্রকল্পের টাকা নির্দিষ্ট একাউন্টে জমা রয়েছে। ভিক্ষুকদের তালিকা যাচাই বাছাই শেষে ইউনিয়ন ভিত্তিক ভিক্ষুকদের পুর্ণবাসনের কাজ শুরু হবে। তবে ভিক্ষুক পুর্ণবাসন প্রকল্পের টাকা এখন পর্যন্ত ব্যয় করা হয়নি।