
শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ | স্বাস্থ্য » লালমোহনে ডাঃ মহসীনের কান্ড! টাকা ছাড়া ছাড়পত্র মেলেনা রোগীদের।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে ডাঃ মহসীনের কান্ড! টাকা ছাড়া ছাড়পত্র মেলেনা রোগীদের।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, মিজানুর রহমান লিপু : ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাঃ মহসীন অতিরিক্ত টাকা কামানোর ধান্ধায় রিতিমত বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি এ হাসপাতলের কোন রোগী ছাড়পত্রের জন্য গেলে টাকা ছাড়া কোন ছাড়পত্র দেননা তিনি।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বদরপুরের রায়রাবাদ ৬ নং ওয়ার্ডের আঃ ওহাব পাচাদারের মেয়ে ইয়াছমিন অসুস্থ হয়ে গত এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত ১৪ জুন সে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র চাইলে ডাঃ মহসীন তার কাছে ৩শ টাকা দাবি করে। ইয়াছমিন গরীব বলে ২শ টাকা দিতে চাইলেও রাজী না হয়ে ৩শ টাকাই দিতে বাধ্য করেন ডা: মহসীন।
ভুক্তভোগী ইয়াসমিন বলেন, আমি গত ৯ জুন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। ডাঃ মামুনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ায় ডাঃ মহসীন রাউন্ডের সময় আমাকেসহ অনেক রোগীকে না দেখে অবহেলা করতেন। গত ১৪ জুন আমি সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছাড়ার প্রাক্কালে ছাড়পত্র চাইলে ডাঃ মহসীন আমারসহ আরো ৩/৪ জন থেকে ৩শ টাকা করে দাবি করেন। আমি গরীব বলে ২শ টাকা দিলে আমাকে ছাড়পত্র না দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে ৩শ টাকা করে নিয়ে তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাড়পত্রে জন্য টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ডাঃ মহসীন বলেন, শুক্রবার হওয়ায় আমার ভিজিট হিসেবে ৩শ টাকা করে নিয়েছি। আমি মাসে মাত্র ১লক্ষ টাকা কামাই করি, অন্য ডাক্তারাতো মাসে ৫ লক্ষ টাকা কামাই করে।
তিনি আরো বলেন, এই ছাড়পত্রের টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে ভোলার সিভিল সার্জন স্যার আমাকে বদলি করেছেন। তিনি ভুল বুঝতে পেড়ে আমাকে আবার লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
উল্লেখ, ছাড়পত্রের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগে দুই বছর পুর্বে বাধ্যতামূলকভাবে বদলী হয়ে বানরীপাড়া হাসপাতালে চলে যেতে হয় ডাঃ মহসীনকে। তদবিরের বিনিময়ে পুনরায় তিন মাসের মধ্যে আবারো লালমোহন হাসপাতালে এসে পূর্বের চাইতে বেশি ব্যপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। এবার তিনি লালমোহনের কিছু প্রভাশালীদের ছত্রছায়ায় অপকর্ম ঢাকার কৌশল অবলম্বন করেন।
এ ব্যাপারে লালমোহন হাসপাতালের টিএস ডাঃ মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। আমি খুব ব্যাস্ত আমি সময় দিতে পারবো না।
এ ব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ রথিন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, হাসপাতালের টি এস এর বক্তব্যটি সঠিক নয়। কোন অভিযোগের বিষয় কথা বলতে তথ্য অধিকার আইন প্রয়োজন হয়না। ডাঃ মহসীনের বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ডা: মহসীনের অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বখ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধ্ধতন কর্মকর্তাসহ ভোলা-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন’র দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী রোগীরা।