শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে চাদর বাহিনীর দৌরাত্ব, জিম্মি লঞ্চ যাত্রীরা।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে চাদর বাহিনীর দৌরাত্ব, জিম্মি লঞ্চ যাত্রীরা।। লালমোহন বিডিনিউজ
সালাম সেন্টু, : ভোলার লালমোহন উপজেলা থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে চাদর বাহিনীর দৌরাত্বের কারণে তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। লঞ্চে সাধারণ যাত্রীদের নির্ধারিত ডেকে নিজেদের চাদর বিছিয়ে দখল করে তা যাত্রীদের কাছে বিক্রি করাই এ চাদর বাহিনীর কাজ। জনপ্রতি ১/২শত টাকায় বিক্রি হয় ডেকসিট। যাত্রীর চাপ বেশি হলে সেই হার ৫শতাধিকও ছাড়িয়ে যায়। টাকা না দিলে ডেকে যাত্রীদের বসা বা থাকার কোন সুযোগ হয়না। তাই বাধ্য হয়ে জেলার অন্য ঘাটের লঞ্চে যাতায়াত করতে হয় এ সকল যাত্রীদের। ফলে যাত্রীশূন্য হয়ে লোকসান গুনে প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায় লালমোহন টু ঢাকা লঞ্চ চলাচল এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এমভি মানিক-৯ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে ঘাটে অবস্থান করছে। ডেক যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত লঞ্চের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় যাত্রী না থাকলেও অসংখ্য চাঁদরে পরিপূর্ণ। এসময় প্রতিবেদককে দেখে এগিয়ে আসে চাঁদর বাহিনীর দু-সদস্য। ডেকে জায়গা পাওয়া যাবে কিনা জানতে চাইলে তারা জানায়, সব বিক্রি শেষ। তবে টাকার পরিমান বাড়ালে দুজনের জায়গা দেয়া যাবে। দর কষাকষির মধ্যেই এগিয়ে আসে লঞ্চের সোহেল নামের এক স্টাফ। নিজেকে লঞ্চের লস্কর পরিচয় দিয়ে জানতে চায় কজনের সিট লাগবে? উত্তরে ৫জনের কথা বললে জানায় দেয়া যাবে।
মো: সিহাব নামের এক যাত্রী বলেন, আমার বন্ধুর অসুস্থ্যতাজনিত কারণে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠাতে লঞ্চে গিয়ে দেখি বসা থাক দুরের কথা দাঁড়ানোর মত কোন অবস্থা নেই। পরে চাঁদর বাহিনীর এক সদস্য এসে তিন জনের জন্য ১৮০০টাকা দাবি করে। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে বাধ্য হয়েই তাদের চাহিদা মিটিয়ে সিটের ব্যবস্থা করি।
মো: নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, পূর্বেও লঞ্চে চাঁদর বাহিনী ছিল। তবে তারা লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু পরিমান জায়গা দখলে রেখে তাদের কাছ থেকে বকশিষ নিতো। কিন্তু এখন রিতিমত পুরো ডেক দখলে নিয়ে বকশিষের বদলে চাঁদাবাজি করছে চাঁদর বাহিনী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মানিক-৯ লঞ্চের ইন্সপেক্টর মো: সোহেল বলেন, কোনো যাত্রী আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর আমাদের লঞ্চস্টাফ চাঁদর বিছায় না, তারা তোষক বিছিয়ে বিক্রি করে।