শনিবার, ১৮ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভবন নেই, তাই ঝুঁকি নিয়ে জড়াজীর্ণ টিনসেট ঘরে চলছে পাঠদান।। লালমোহন বিডিনিউজ
ভবন নেই, তাই ঝুঁকি নিয়ে জড়াজীর্ণ টিনসেট ঘরে চলছে পাঠদান।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলাধীন ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১০৭ নং বাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে ঝুঁকিপূর্ণ টিনসেট ঘরে। নতুন ভবনের আশ্বাসে বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে প্রায় ৩ বছর পূর্বে। তবে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি কোনো ভবন। তাই বাধ্য হয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে ব্যবহৃত করা হচ্ছে জরাজীর্ণ টিনসেট ঘর। এতে একদিকে যেমন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে আবার প্রায় প্রতিদিনই কমছে বিদ্যলেয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
তাছাড়া ওই গ্রামে সরকারীভাবে নেই কোন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র। এক সময় বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনগুলোই ছিল প্রাকৃতিক দূর্যোগকালীন সময়ে স্থানীয় জনসাধারণের আশ্রয়স্থল। তবে সরকারীভাবে ভবন নির্মাণ হবে এ আশায় রয়েছেন শিক্ষক,শিক্ষার্থীও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে শিশুশ্রেণির ২২ জনসহ ১৯৯ জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে বিপাকে রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বৃষ্টি হলেই শ্রেণি কক্ষে পানি পড়ে ভিজে যায় বই-খাতাসহ শিক্ষক মিলনায়তনের গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র। প্রচন্ড গরমে ঘরটির ভিতরে ক্লাস করা হয়ে যায় দুর্সাধ্য। বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে চলে পাঠদান কার্যক্রম।ফলে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও। নানান সমস্যার মধ্যেও নিয়মিত পাঠদানের চেষ্টা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বলেন, ২০১৫ সালে একটিভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়াতে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়। তবে অন্য ভবনটি ভালো থাকলেও তা উপজেলার একটি সিন্ডিকেট আমাকে ও সভাপতিকে না জানিয়ে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছেও গিয়েছি। তিনি লালমোহনের তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে বলে দেন অতিশিগ্রই ভবনের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু তিনি কিছু করার আগেই বদলী জনিত কারণে এ উপজেলা থেকে চলে যান। আজ পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতিনেই কতৃপক্ষের, আমরা চাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে শিক্ষার মানোন্নয়ন লক্ষ্যে কতৃপক্ষ যেন দ্রুত এ বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণের
ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ হোসেন বলেন, আমি কয়েকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শণ করেছি। সত্যিই তারা অনেক খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ফলে শুধু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানই নয় পাশাপাশি চতূর্দিখ নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলের দূর্যোগকালীন সময়ে মানুষের আশ্রয়স্থলও হবে। তাই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে যথাযথ কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।