
শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | মুক্তমত | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » স্যার এক্কান ভাতার কার্ড দেন! লালমোহনে বিধবার করুণ আকুতি।। লালমোহন বিডিনিউজ
স্যার এক্কান ভাতার কার্ড দেন! লালমোহনে বিধবার করুণ আকুতি।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, মাকসুদুর রহমান পারভেজ : স্যার হামারে এক্কান ভাতার কার্ড দেন, ছউগা পোলাইন নিয়া সংসার চালাইতে পারিনা। সংবাদকর্মীকে দেখে করুণ আর্তনাদের সাথে একটি ভাতার কার্ড চেয়ে এভাবেই কথাগুলো বলে গেলেন ছয় সন্তানের জননী এক অসহায় বিধবা।
উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বচরউমেদ ৭ নং ওয়ার্ডের ইদ্রিস মিয়া বাড়ীর মৃত জামাল উদ্দীনের( বিধবা) স্ত্রী ছলেমা বেগম। ২০১২ সালের ৫ডিসেম্বর স্বামী জামাল উদ্দিন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তাকে চিকিৎসার জন্য নিজেদের সহায় সম্বল সব হারিয়েও স্থানীয়দের সাহায্য সহযোগিতায় ঢাকা, বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। স্বামীর চিকিৎসার ব্যয় মিটাতে গিয়ে হারিয়েছেন ভিটে মাটি। তবুও শেষ রক্ষা হলোনা। ছয় কন্যা সন্তান রেখে পরপারে পারি জমালেন জামাল উদ্দিন।
ছয় কন্যাকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়লেন ছলেমা বেগম। পরের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে দু’ কন্যাকে বিয়ে দিলেও সুখে নেই তারা। স্বামীর মৃত্যুর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জোটেনি বিধবা ভাতা।
আক্ষেপের সাথে ছলেমা বেগম বলেন, হুনছি সরকার বিধবা ভাঁতা দেয় কিন্তু আঁই লালমোহনে স্যারের কাছে দরখাস্ত কইরাও কোন ভাঁতা হাইনো।
জানা যায়, বিধবা ছলেমা ভাতা পাওয়ার জন্য গত ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামসুল আরিফের বরাবর একটি আবেদন করার পর তিনি ইউনিয়ান পরিষদ চেয়ারম্যানকে ভাঁতা প্রাপ্তির জন্য সুপারিশ করেন।
কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও ইউএনও ‘র সুপারিশ বা অনুরোধের গুরুত্ব দেননি চেয়ারম্যান সাহেব। কোন ভাঁতার আওতায় আসেনি বিধবা ছলেমা বেগম।
সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ এমনকি ১০ টাকা কেজি দরের চালের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত ছলেমা বেগম।
এ ব্যাপারে রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পেট পুরে নয় বরং দু-বেলা দুমুঠো খেয়ে সন্তানদের নিয়ে এ সমাজে বেঁচে থাকতে চায় ছলেমা বেগম। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান বিধবা ছলেমা বেগমের।