বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | শিরোনাম | সর্বশেষ » বিমান সেবিকার শয্যা সঙ্গিনী হওয়ার আত্ম কাহিনী
বিমান সেবিকার শয্যা সঙ্গিনী হওয়ার আত্ম কাহিনী
লালমোহন বিডি নিউজ ,ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : অপরূপ সুন্দরী বিমান সেবিকার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি! একের পর এক ধনকুবেরের শয্যা সঙ্গিনী হওয়ার কাহিনি। বিলাস বহুল বোট আর বহু মূল্য মদিরায় ডুবে থাকা জীবন। প্রেম আর যৌনতাই ছিল তাঁর বিনোদন। বর্তমানে সুখি দাম্পত্য জীবন ও এক সন্তানের মা ম্যান্ডি স্মিথ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ককপিটের যৌনজীবন মেলে ধরলেন তাঁর আত্মজীবনীতে। বইটির নাম ক্যাবিন ফিভার। ম্যান্ডির কথায়, আমি বিমানেও সেক্স করেছি।
ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন অ্যাটলান্টিক এয়ারওয়েজে দীর্ঘ দিন বিমানসেবিকা ছিলেন ম্যান্ডি। সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন। তারপরই নিজের লেখা বইতে মেলে ধরেছেন তাঁর উদ্দাম জীবন। তিনি জানিয়েছেন, বিমানে কোনও পুরুষ তাঁর সৌন্দর্যের প্রশংসা করলেই তাঁকে শরীর দিয়ে দিতেন অনায়াসেই।ম্যান্ডি বলছেন, একবার দুবাইয়ে এক ধনবান যুবককে আমি পানীয় পরিবেশন করছিলাম। হঠাৎ যুবকটি বললেন, তোমাকে খুব সুন্দর দেখতে। যুবকটির নাম ছিল মাহির আস্কার। আমি সেই রাতেই দুবাইয়ে তাঁর বিলাস বহুল বাংলোয় রাত কাটাতে রাজি হয়ে যাই। অপূর্ব দেখতে ছিল সেই যুবক।
গ্ল্যামার গার্ল বিমানসেবিকা নজরে পড়ে যান সংস্থার কর্ণধার রিচার্ডের। কোনও বিমান সেবিকা সংস্থার মালিকের সঙ্গে পার্টি করছেন দিনের পর দিন, এটা অনেকে ভাবতেই পারতেন না। কিন্তু ম্যান্ডি সেটাই করে দেখিয়ে ছিলেন। তিনি বলেছেন, আমি খুব ধনী পরিবারে মানুষ হইনি। কিন্তু স্বপ্ন দেখতাম বিলাসবহুল জীবনের। তাই ধনকুবেরদের সঙ্গে রাত কাটাতে ভালোবাসতাম। যে দিন রিচার্ডের পার্টিতে প্রথমবার গেলাম। অত দামি শ্যাম্পেন দেখার সৌভাগ্য তার আগে হয়নি। রিচার্ড আমাকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।যদিও বিমানসেবিকার চাকরি ছাড়ার পর আপাদমস্তক সংসারি স্ত্রীর জীবনই কাটাচ্ছেন ম্যান্ডি। তাঁর কথায়, আমি এখন সুখি। আমি নিজের মতো জীবনটাকে উপভোগ করি। এখনও করছি।