সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » বাতিঘর আইন ২০১৯’র খসড়া নীতিগত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন।। লালমোহন বিডিনিউজ
বাতিঘর আইন ২০১৯’র খসড়া নীতিগত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : মাশুল পরিশোধ না করলে জাহাজ আটকের বিধান রেখে বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০১৯ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার ১৮মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের একটা পুরনো আইন আছে, দ্য লাইট হাউজ অ্যাক্ট, ১৯২৭। এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাই নতুন আইন অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইনে বন্দর বাতিঘর কর্তৃপক্ষ যুক্ত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাতিঘর পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের যে কোন বন্দরে আগমন ও প্রত্যাগমনের সময় জাহাজের মালিক অথবা এজেন্ট অথবা মাস্টার কর্তৃক বাতিঘর মাশুল পরিশোধ করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাতিঘরের উপর মাশুল আরোপ করার বিধান আগে থেকেই ছিল। এটি একটু সহজীকরণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্দরে আগত এবং প্রত্যাগত এবং এক বন্দর হতে অন্য বন্দরে যাতায়াতের জন্য জাহাজগুলোকে দিকনির্দেশনা দেয়ার সুবিধার্থে, বাতিঘরের সেবা সুবিধা প্রদানের জন্য সরকার এই আইনের অধীনে প্রত্যেক আগমন ও প্রত্যাগমনকারী জাহাজের জন্য সময়ে সময়ে বাতিঘরের মাশুল নির্ধারণ এবং বাতিঘর মাশুল সংগ্রহ করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কমিশনকে মাশুল কালেকশনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, যে জাহাজ মাশুল দেবে না সে জাহাজকে আটক করা যাবে। যতক্ষণ টাকা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে সিজ করে রাখা যাবে। টাকা দিলে ছুটে যাবে।