রবিবার, ১০ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | বোরহানউদ্দিন | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন: মামলা করায় হুমকি।। লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন: মামলা করায় হুমকি।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন কুঞ্জেরহাট এলাকার হাফেজ মো. খলিলুর রহমানের কন্যা রাবেয়া বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের আবুল কাশেমের পুত্র মো. আল ইমরানের সাথে ২০১৬ সালে ইসলামী সরিয়াহ্ মোতাবেক বিবাহ হয়।
ভিকটিম রাবেয়া জানান, বিয়ের পর সামাজিক নিয়ম মেনে তার স্বামী আল ইমরানকে স্বর্ণের চেইন, আংটি ও তার আত্মীয় স্বজনদের পোষাক এবং ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র দেয় রাবেয়ার পরিবার। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে যৌতুক লোভী এমরানের পরিবারকে এতোকিছু দেওয়ার পরও সুযোগ বুঝে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুকের কাছে হার মানে রাবেয়ার সুখের সংসার।
এমরান ও তার পরিবার রাবেয়ার পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করলে অনেক দেন দরবার শেষে গর্ভবতী মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জামাই এমরানের আত্মীয় খালেক ব্যাপরী ও মেরের চাচা জলিল যৌতুক লোভী এমরানের বাবা-মায়ের হাতে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেন।
যৌতুকের টাকা দেওয়ার কয়েক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পূনরায় জামাই এমরান তার পরিবারের যোগসাজশে ব্যবসা করার জন্য গর্ভবতী রাবেয়ার কাছে আবারো ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। রাবেয়া টাকা দিতে অস্বীকার করলে এমরান ও তার পরিবার গর্ভবতী রাবেয়াকে মারধর করে বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয় এবং যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে আর এমরান ঘরে তুলবেনা বলে জানান।
এ ব্যাপারে কয়েক দফা মিমাংসার চেষ্টা করা হলে আরো বেপরোয়া হয়ে এমরান শশুর বাড়ী এসেও রাবেয়াকে মারধর করে। প্রায় ১ বছর আগে রাবেয়ার একটি পুত্র সন্তান হলেও আজ পর্যন্ত কোন খোঁজ নেয়নি এমরান ও তার পরিবার।
পরে এ বিষয়ে গত ২০১৮ সালের ১২ আগষ্ট ভোলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাবেয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং সি,আর-১৩৯।
রাবেয়া তার স্বামী ও অভিযুক্ত পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা কারায় ক্ষিপ্ত হয়ে এমরানের বাবা মো. আবুল কাশেম ৪ মাস পর গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ রাবেয়ার বাবা খলিলুর রহমান ও চাচা জলিলকে আসমী করে ভোলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লালমোহন আদালতে টাকা ছিন্তাইয়ের একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে আদালত লামোহন থানায় প্রেরণ করেন। আবুল কাশেমের মামলার ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন কেহই কিছু জানেনা। কাশেমের দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান আবুল কাশেমের এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে রাবেয়ার বাবা হাফেজ খলিলুর রহমান জানান, মেয়ের সংসার ঠিক রাখার জন্য ধার দেনা করে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়ে জামাই এমরানকে খুশি করতে পারিনি,আরো ৫ লক্ষ টাকা তাদের দাবী। আমার মেয়ে মামলা করায় আমাকে এবং আমার ভাই জলিলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং মেয়ের মামলা তুলে নিতে আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে এমরান ও তার পরিবার।
এঘটনায় অভিযুক্ত এমরান জানান, আমি রাবেয়াকে তালাক দিয়েছি। আদালতে মামলা চলছে, আমি আর রাবেয়াকে ঘরে তুলবনা।