
মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিক্ষা | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে প্রধান শিক্ষকের কান্ড: ভারতে থেকেও গুনছেন বাংলাদেশের বেতন।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে প্রধান শিক্ষকের কান্ড: ভারতে থেকেও গুনছেন বাংলাদেশের বেতন।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : বছরের বেশিরভাগ সময় স্বপরিবারে ভারতে অবস্থান করেও বাংলাদেশে থাকা প্রধান শিক্ষক পদের বেতন ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে ভোলার লালমোহন উপজেলাধীন দঃ চর মিয়াজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদারের বিরুদ্ধে। শিক্ষা ভাতার নামে ভারতীয় নাগরিক মেয়ে শিল্পি মজুমদারের নামে নিচ্ছেন শিক্ষা ভাতা। এদেশে থাকা যাবতীয় সম্পদ বিক্রি করে অস্থায়ী একটি কুড়ে ঘরে থাকেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে ছেলে সুবেন্দ্র মজুমদার, মেয়ে শিল্পি মজুমদার ও স্ত্রী ঝর্না রানী মজুমদারকে নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কুকশিমলা গ্রামে স্থায়ী বসবাস করেন শিক্ষক শংকর মজুমদার। বছরের সাময়িক সময় বাংলাদেশে থেকে প্রধান শিক্ষকের পদে চাকরি করলেও বেশিরভাগ সময় ভারতেই অবস্থান করেন তিনি। কতৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া ভারতে ছুটি বহির্ভূত অবস্থান করলেও বিদ্যালয়েরই একজন সহকারী শিক্ষকের মাধ্যমে নিজের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে উপস্থিত দেখিয়ে থাকেন।
প্রধান শিক্ষকের এমন দুর্নীতির বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহমুদুল হক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগপত্র দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাননি।
এমন অভিযোগ করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হক বলেন, বাৎসরিক সরকারি ছুটি ঘোষণার আগেই তিনি ছুটে যান ভারতে। ছুটি শেষ হলেও নিজের ইচ্ছেমত ফিরেন এ প্রধান শিক্ষক। একজন সহকারী শিক্ষক দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে রাখেন। দীর্ঘ ৬/৭ বছর যাবৎ ভারতে অবস্থান করলেও ছেলে ও মেয়ের নামে শিক্ষাভাতার নামে অবৈধ উপায়ে লুফে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। যা সম্পুর্ণ অবৈধ। প্রধান শিক্ষকের এমন অনিয়ম তুলে ধরে কিছুদিন পূর্বেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ পত্র দায়ের করেছিলেন বলেও জানান বিদ্যালয়ের সভাপতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার বলেন, আমার ছেলে মেয়ে ২০১৩ সাল থেকে ভারতে পড়াশুনা করে এবং আমার স্ত্রীও সেখানে থাকে বিধায় আমাকে ছুটি পেলেই ভারতে যেতে হয়।
কারো অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাভাতা পেতে ২০১৩ সালের পর আমি কোন প্রত্যয়ন পত্র জমা দেইনি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমেরিকা থেকে পড়াশুনা করলেও সে শিক্ষাভাতা পাবে এবং তবে প্রধান শিক্ষকের ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে কোন কিছু জানেন না এ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন, দেশত্যাগ করতে হলে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র ছাড়া শিক্ষাভাতা পেতে পারেন না। বিদ্যালয়ের সভাপতি অভিযোগ দিয়ে থাকলে সে ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।