শুক্রবার, ১ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » ডিএনসিসি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখান করেছে- ড. মোশাররফ হোসেন।। লালমোহন বিডিনিউজ
ডিএনসিসি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখান করেছে- ড. মোশাররফ হোসেন।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন (ডিএনসিসি) জনগণ প্রত্যাখান করে ভোটের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে।
শুক্রবার ১ মার্চ দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মৎস্যজীবী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান খন্দকার মোশাররফ।
ডিএনসিসি নির্বাচন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা পরিষ্কার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখান করেছে।
এই মেয়র উপ-নির্বাচনে জাপার যিনি প্রার্থী ছিলেন, তিনি বলেছেন, প্রায় ৪০টি কেন্দ্রে তিনি গিয়েছেন, সেখানে কোনো ভোটার দেখেননি। ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। অর্থাৎ জনগণ একাদশ ভোটে এই সরকার ও প্রশাসনের যে চেহারা দেখেছে, তাতে জনগণ ভোটের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। এর প্রতিবাদ হিসেবে গতকাল তারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ যে বিশ্বাস করে না, গতকালের নির্বাচন প্রত্যাখান করে তারা সেটা প্রমাণ করেছে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ডিএনসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়েছেন। এটা কোথা থেকে এলো? আমাদের কাছে পরিষ্কার, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছিল, জনগণের ভোট দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। এভাবে ৯০ শতাংশ ভোট তারা দিয়েছিল। একই প্রক্রিয়ায় গতকালও ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটাও সরকার তার সিস্টেমের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করেছে।
তিনি বলেন, এই যে দু’টি ঘটনা- জনগণ ভোট দিতে পারেনি, তাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ সরকার আজকে ভোটার দিবস পালন করছে! এটা অত্যন্ত হাস্যকর। ভোটাররা যেখানে ভোট দিতে পারে না, সেখানে আজকের স্লোগান হচ্ছে ভোটার হন, ভোট দিন! সরকারই আজকে ভোটাদের ভোটাধিকার হরণ করে ভোটার দিবস পালন করে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছে, তামাশা সৃষ্টি করেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখান করে আমরা পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আর খুব শিগগিরই এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা নির্বাচনে যাবো।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ দলটির নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।