রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | ধর্ম-কর্ম | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে।। লালমোহন বিডিনিউজ
জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : সারাদেশের ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদের জমি ব্যবহারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা-স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
রবিবার ৩ ফেব্রুয়ারী সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পে মোট ৫৬০টি মসজিদ স্থাপনের বিষয়ে বলা হলেও আজকে ১৬২টি মসজিদের বিষয়ে সমঝোতা-স্মারক স্বাক্ষর হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম। ইসলাম ধর্মে মসজিদকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মসজিদে জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায়ে আমরা সবাই একত্রিত হই। এতে আমাদের একে অপরের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ বাড়ে। এর মাধ্যমে আমাদের মধ্যে একটা সামাজিক, পারিপার্শিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মধ্যদিয়েই মানুষ ভালো থাকতে পারে।’
মসজিদগুলো যদি আকর্ষণীয় হয় তাহলে সে মসজিদের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সে দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বৃত্তবানরা সুন্দর সুন্দর মসজিদ গড়ে তোলে। একসময় আমরা অনেক গরিব ছিলাম। তাই মসজিদগুলোকে বেশি অর্থ বরাদ্দ দিয়ে অনেক সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারিনি। এখন আমাদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে আমাদের সামগ্রিকভাবে উন্নতি হয়েছে। সেই উন্নতির ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে এসব মসজিদ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’
মডেল মসজিদগুলো সামাজিক মূল্যবোধের উন্মোচন ঘটাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ মসজিদগুলো নির্মাণের জন্য যেসব জায়গা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, আশা করছি নামাজ পড়া ও ধর্মীয় বিষয়াদি আলোচনার জন্য এসব মসজিদে জনসমাগম খুব বেশি হবে।’