বুধবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | বোরহানউদ্দিন | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » বোরহানউদ্দিন উপজেলায় জসিম হায়দার কে চেয়ারম্যান চান তৃণমূল কর্মীরা।। লালমোহন বিডিনিউজ
বোরহানউদ্দিন উপজেলায় জসিম হায়দার কে চেয়ারম্যান চান তৃণমূল কর্মীরা।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বোরহানউদ্দিন উপজেলার আ’লীগ কর্মীরা চান ত্যাগী নেতা জসিম উদ্দিন হায়দার কে। তাদের দাবী, ওই নেতা দলের দূর সময়ে নেতা-কর্মীদের ফেলে এলাকা ছেড়ে যাননি। মামলা হামলার শিকার ও নিজের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হলেও তিনি এলাকায় কর্মীদের নিয়ে দলীয় কর্মসূচীগুলো পালন করতেন।
ওই সময়ে সরকার দলীয় এমপির নানা প্রলোভন ও আর্থিক সুবিদার অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন দল ও দলের আদর্শকে ভালোবেসে। এ জন্য তাকে মাশুল দিতে হয়েছে অনেক।স্থানীয় এমপি হাফিজ ইব্রাহিম তাকে কিনতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। প্রশাসন দিয়ে একাধিকবার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেন। বঙ্গবন্ধু ও তোফায়েল আহমেদ এর আদর্শ বুকে লালন করে শত প্রতিকূলতার মাঝে ও তিনি আদর্শচ্যুত হয়নি। তাই আজ দলের সুসময়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসাবে তৃনমূল নেতা-কর্মীরা তাকেই চান।
তারা আরো জানান, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আ’লীগের জন্য বশির আহমেদ মিয়া ও তার পরিবারের অবদান অনেক।তবে জসিম উদ্দিন হায়দার জানান, ভোলার আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক ও বাংলাদেশের রাজনীতির আইকন তোফায়েল আহমেদ ও স্থানীয় এমপি যদি আমাকে দলের জন্য প্রয়োজন মনে করে এবং মনোনয়ন দেন তবেই আমি নির্বাচন করব। জানা যায়, জসিম উদ্দিন হায়দার ৮০ দশকে উপজেলা ছাএলীগের সভাপতি ও বোরহানউদ্দিন মর্ডান ক্লাবের সভাপতি ছিলেন , ৯০ দশকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। ২০০২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বর্তমান বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে কর্মরত আছেন। তবে ভোলা জেলার ইতিহাসে বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদের সফল চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন হায়দার। তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগের দূরসময়ে দলের হাল ধরেন। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলার বিরুদ্ধে মোকাবেলা করেন। বিএনপির নির্যাতনের শিকার ও একাধিক মিথ্যা মামলার আসামী হন জসিম উদ্দিন হায়দার। ভোলা কোট ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আসা যাওয়ার মধ্যে কেটে যায় ৫ টি বছর। কিন্তু তিনি আওয়ামীলীগের দূরসময়ে দলের হাল ধরতে পিছু পা হয়নি। বড় মানিকা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মো:শাহজল হক মাষ্টার, ইউনিয়ন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন হাওলাদার,আলাউদ্দিন,লিয়াকত আলী,ইউপি সদস্য আনিচুল হক,আলামিন মেম্বার,মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আলী,মহিলা মেম্বার জিনু বেগম,সুফিয়া বেগম,মমতাজ বেগম,বাজার ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন,আনছার আলী,আনোয়ার মাষ্টার,মেঘনার মাছ ব্যবসায়ী ছলেমান বেপারী,জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি শাহে আলম,ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি আবু সাইদ মাঝি,প্রবীন আ’লীগ সমর্থক সেকান্তর আলী ফরাজী,তরুন ভোটার মো:রুবেল জানান,বোরহানউদ্দিনে আ’লীগের রাজনীতির কথা বললে মরহুম বশির আহমেদ মিয়ার পরিবারের কথা সবার আগে বলতে হয়।রাজনৈতিক চরম দুরসময়ে এ পরিবারের অনেক ভূমিকা রয়েছে। বিএনপির ক্ষমতার আমলে হাফিজ ইব্রাহিম অনেককে কিনতে পারলেও জসিম উদ্দিন হায়দার ও তার পরিবারের অন্যদের কিনতে পারেনি। এ জন্য তাকে অনেক মাশুল দিতে হয়েছে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা যখন আমাদের প্রানের নেতা তোফায়েল আহমেদ কে হ্যালিপ্যাড রাস্তায় অবরুদ্ধ করেন তখন জসিম উদ্দিন হায়দার ও তার সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রিয় নেতাকে উদ্ধার করে নিরাপদে আনেন। আজ দলের সুসময়ে আমরা দুরসময়ের জসিম উদ্দিন হায়দারকেই উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই।