মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | ঢাকা | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোর উদ্ধার: ৭অপহরণকারী আটক।। লালমোহন বিডিনিউজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোর উদ্ধার: ৭অপহরণকারী আটক।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা থেকে অপহরণকৃত কিশোর জিতু মিয়াকে (১৩) ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার ২৯ জানুয়ারী ভোরে ময়মনসিংহ সদর থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। এ ঘটনায় সাতজন অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।
এদিন দুপুর সোয়া ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার খরমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে লোকমান হোসেন (৪০), একই গ্রামের তনজু খাদেমের ছেলে ফোরকান খাদেম (৩০), ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চক ছত্তরপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মো. চাঁন মিয়া (৩২), কেরয়াটখালী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আজিজুল হাকিম (২২), তারাকান্দা উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২২), ত্রিশাল উপজেলার কুইষ্টা গ্রামের নেওয়াজ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (২২) ও ধোবাউড়া উপজেলার মাহামুদ আলীর ছেলে এরশাদ আলী (২৫)।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, ২৫ জানুয়ারি বিজয়নগর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের আল আমিনের ছেলে জিতু মিয়া বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর অপহরণকারী দলের সদস্যরা জিতুর বাবা আল আমিনকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
মুক্তিপণের টাকা কবে-কোথায় দিতে হবে জানতে চাইলে অপহরণকারীরা কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। পরে বিষয়টি র্যাবকে জানায় জিতুর বাবা-মা। এর প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল সোমবার রাত ৯টার দিকে দুর্জয় মোড় থেকে অপহরণকারী দলের সদস্য লোকমান ও ফোরকানকে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জিতুকে অপহরণকারীরা ময়মনসিংহে আটকে রেখেছে বলে জানায়।
রাফিউদ্দীন আরও বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে অপহৃত জিতুকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এ অপহরণের ঘটনার মূল হোতা চাঁন মিয়া। জিতুকে খরমপুর গ্রাম থেকে চেতনানাশক জুস খাইয়ে ময়মনসিংহে নিয়ে যায় বলে জানায় চাঁন মিয়া।
পুরো অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন র্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের ও র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ।