উপজেলা নির্বাচন : লালমোহনে ফারহাদ নাঈমকে নৌকা প্রতিক দেয়ার দাবি।। লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : সর্বত্র তারুণ্যের জয় জয়াকার। সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী নিধারণের ক্ষেত্রে তারুণ্যের প্রাধান্য, সদ্য ঘোষিত মন্ত্রী সভায় ও তারুণ্যের প্রাধান্য দিয়েছেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই ফেব্রুয়ারীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এ নির্র্বাচনেও প্রার্থী বাছাইয়ে তারুণ্যকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
আর তাই ভোলা জেলাধীন লালমোহন উপজেলায় তরুণ মুখ ফারহাদ হোসেন নাঈমকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকে মনোনিত করার দাবি করছেন এলাকাবাসী।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আওয়ামীলীগ ইশতেহারে ঘোষিত “গ্রাম হবে শহর” কথাটির বাস্তব রুপদানেও তারুণ্যের গুরুত্ব অপরিসীম হবে বলে মনে করছেন প্রত্যন্তাঞ্চলের মানুষেরা। সেজন্যই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লালমোহন উপজেলায় ফারহাদ নাঈমের হাতে নৌকা প্রতিক দেয়ার জোর দাবি তুলেছেন এলাকার বয়োবৃদ্ধসহ যুবক ও তরুণরা। তাদের মতে প্রধানমন্ত্রীর “গ্রাম হবে শহর” ঘোষিত কথাটির সঠিক রুপদানে এ এলাকায় ফারহাদ নাঈমের বিকল্প নেই।
ফারহাদ নাঈম : উপজেলার ৬নং ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মো. অজিউল্যাহ মিয়া মিয়ার ছোট ছেলে ফারহাদ হোসেন নাঈম। ছোটবেলায় দেখেছেন চেয়ারম্যান (রেড ক্রিসেন্ট ) হিসেবে কিভাবে মানবসেবায় পিতা অজিউল্যাহ মিয়া নিরলস কাজ করেছেন। যদিও ২০০১ সাল পরবর্তী হায়েনারা পিতার সেই পদটি কেড়ে নেয়। সেই বিএনপি জামাতের হায়েনারা যখন দেখল ফারহাদ নাঈম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তখনই তার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা ও হামলা দিয়ে তাঁকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হল। অবশেষে রাজধানী ঢাকা হল তাঁর আশ্রয়স্থল। ঢাকায় এসে পড়াশুনায় মন দেন।
এলাকা ছেড়েছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামীলীগের রাজনীতি রক্তে মিশে যাওয়ায় তা ছাড়তে পারেননি। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। কর্ম দক্ষতায় তিনি সেখানে ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। পর্যায়ক্রমে বর্তমানে তিনি ঢাকা কদমতলী থানা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
পাশাপাশি রাজনীতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দানকারী বেসরকারী সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এ সফল প্রশিক্ষণ শেষে আওয়ামীলীগের কোর মাষ্টার ট্রেইনার নির্বাচিত হন। দলের নির্দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ জন্মভূমি এলাকা ভোলা-৩ লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসনের প্রার্থী ও সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষে আওয়ামীলীগের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন তিনি। এছাড়াও দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ কুমিল্লা ও গাজীপুরের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থীর জন্য প্রচারণায় নিরলসভাবে কাজ করেছেন ফারহাদ হোসেন নাঈম।
শত ব্যস্ততার মাঝেও জন্মস্থান লালমোহন ও এলাকাবাসীকে ভূলে যাননি নাঈম। এলাকার দুস্থ ও অসহায়দের বিপদে পাশে থেকে সাধ্যমত সহযোগিতা করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণপূর্বক এলাকার যুবক ও তরুণদের বাঁচাতে তাদের কে খেলা সামগ্রী তুলে দিয়েছেন নাঈম। সর্বদা সকলের সাথে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তরুণ এ আওয়ামীলীগ নেতা।
আর তার এ কর্মগুণই আকৃষ্ট করেছে এলাকা বয়োবৃদ্ধসহ যুবক ও তরুণ সমাজকে। ফারহাদ নাঈম কে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় তারা। তাদের মতে এ উপজেলায় নাঈমের বিকল্প নেই। তাই নৌকা প্রতিক নাঈমের হাতেই উঠুক এমন দাবিতে নিয়ে ফেসবুকে ঝড় তুলেছেন স্থানীয় যুবক তরুণরা। থেমে নেই বয়োবৃদ্ধরাও। আলোচনায় প্রত্যন্তাঞ্চলে চায়ের কাপে ঝড় তুলেছেন তারাও।