এএসআই দেলোয়ারের মানবিকতা, বাঁচলো শিশুর প্রাণ।। লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন। বাংলাদেশ পুলিশের একজন এ এস আই। ভোলা জেলাধীন লালমোহন থানায় দীর্ঘদিন সুনামের সাথে কর্তব্য পালন করে বর্তমানে তিনি বরিশাল বিভাগের মেহেন্দিগঞ্জ থানায় কর্তব্যরত আছেন।
মঙ্গলবার ১৮ ডিসেম্বর তার ফেজবুকে মানবিকতার একটি পোষ্ট লালমোহন বিডিনিউজ’র নজরে পরে। পোষ্ট পড়ে মনে প্রাণে বিশ্বাস জাগে “মনুষত্ব আছে বলেই পৃথিবী বেঁচে আছে।
পুকুরের পানিতে পড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আড়াই বছরের ফুটফুটে শিশু। দূর্গম এলাকাটি থেকে অনেক দুরে হাসপাতাল । যানবাহন সংকট তাই নির্বাক আর হতাশার চাহনি মা বাবার চোঁখে। বিষয়টি নজরে এলেই নিজের ব্যবহৃত মটর সাইকেল করে ১০ কি: মি: দুরের হাসপাতালে নিয়ে যান শিশুটিকে। আল্লাহর অশেষ কৃপায় বেঁচে যায় শিশুটি। সে শিশুটির হাসিই যেন সৈয়দ দেলোয়ার হোসেনর প্রাপ্য অমূল্য পুরস্কার।

তার ফেজবুক পোষ্টটি লালমোহন বিডিনিউজ’র পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল:
আজ ইং ১৮/১২/২০১৮ তারিখ আমি এ এস আই সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন এবং কনস্টেবল ৯৬৯ মোঃ সোহগ সহ সমন ডিউটি পালন কালে মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন উলানিয়া ইউ,পির রাজাপুর ০৭ নং-ওয়াডস্হ মোঃ আঃ কাদের হাওলাদার এর ০২ বৎসর ০৬ মাস বয়সের ছেলে মোঃ হোসেন অদ্য বেলা ১৩.০০ ঘটিকার সময় তাহার বাড়ীর পুকুরে পানিতে পরে যায়। ঐ দূ্র্গম পথে যাওয়া সময় কান্নাকাটি শুনে আমার মটর সাইকেল থামাইলে শিশু হোসেন এর ফুফু দৌরে এসে বলেন ভাই আমাদেকে একটু হাসপাতালে নিয়া যাইবেন বাচ্ছা পানিতে পরেছে শুনে আমি তাৎক্ষনিক দৌরে গিয়ে বাচ্ছার হাতধরে দেখি ওর হাতের নারী টিস টিস করে চলে, তখোন আমার ফোর্স মোঃ সোহাগকে নামিয়ে দিয়ে বাচ্ছার চাচা শাহাদাৎ হোসেনকে নিয়া ১০ কিলোমিটার মেহেন্দিগঞ্জ হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার জরুরী ভাবে অক্সিজেন দেন এবং ইন্জেকশন ফুস করিলে ২০ মিনিট এর মধ্যে বাচ্ছার শরীর গরম হয় এবং বাচ্ছার সাবাবিক জ্ঞান ফিরে আসলে আমি আমার সংগীয় কনস্টেবল সোহাগ কে দিয়া শিতের পোশাক এনে বাচ্ছার গায়ে পরিয়ে দিয়ে গরম দুধ পান করাইলে আল্লাহর রহমতে বাচ্ছা সুস্হ্য করে তাহার বাবা মোঃ আঃ কাদের কে বুঝাইয়া দেই। এবং বাচ্ছাকে জিজ্ঞাসা করি বাবু তুমি আমার ভালো বন্দু হবে তখোন বাচ্ছা মাথা নারায় ও মূখে জবাব দেয় হুম, সে আমার বন্দু হবে তবে সকল কথার সমাধানই হইলো মহান আল্লাহর কৃপা।