মেজর হাফিজকে ভোলা-৩এ লাশের রাজনীতি করতে দিবো না-সাংসদ শাওন।। লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, রিপন শান: প্রতিটি নির্বাচনে মেজর হাফিজ লালমোহন তজুমদ্দিনে লাশ ফেলেছেন, সেটা আওয়ামীলীগের হোক অথবা তার নিজের দলের হোক। নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য তার চাই লাশ। লর্ডহার্ডিঞ্জে আলীম হত্যা, শাহবাজপুর কলেজে সিরাজ হত্যা, আলম বাজারে খোরশেদ হত্যা, তুচ্ছ অজুহাতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাজিয়ে ২০০১ সালে মুকুল, আলামীন, নুরুল ইসলাম হত্যার ইতিহাস মেজর হাফিজের লাশের রাজনীতির ইতিহাস । মানুষের প্রতি তার কোনো দয়ামায়া নেই । গাড়িতে রক্ত লাগবে বলে পুলিশের গুলিতে আহত রফিক পাটোয়ারীর ছেলে মুকুলকে জরূরি চিকিৎসার জন্য ভোলায় নিয়ে জাননি। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তার কর্মী কামাল পারভেজ কে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় পাঠালে হয়তো সে বেঁচে যেত। কিন্তু মেজর হাফিজ তার জন্য নিবেদিত এসব কর্মীর জীবনমরন দু:সময়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেননি। কারণ তার চাই লাশ। মেজর হাফিজ আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। বংশীয় ছেলেদের হাতে কলমের বদলে তুলে দিয়েছেন মারনাস্ত্র । আমি মেজর হাফিজ কে আমার স্বপ্নের লালমোহন তজুমদ্দিনে লাশের রাজনীত করতে দিবো না। আর কোনো মায়ের বুক খালি করতে দিবো না । গতকাল লালমোহন পৌরসভার ৩ নং ও ১২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ি এবং কালমা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের ম্যানেজার বাড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে নৌকার মাঝি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি এসব কথা বলেন । এসময় তিনি আরো বলেন, দশবছর পর এলাকায় এসে মেজর হাফিজ তার পুরোনো দানবীয় চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন, তার বাড়ির সামনে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজামাল দুলাল সহ আমার দলের নেতাকর্মীদের জখম করে । আমি লালমোহন থেকে তার মৌমাছি বাহিনী, মশামাছি বাহিনী, টর্নেডো বাহিনী নিপাত করেছি । এবার তার হেলমেট বাহিনীকে এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে বিতাড়িত করবো। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অরুন, বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নুরুল আমিন চৌধুরী, ডা. নিজাম উদ্দিন ফারুক, লালমোহন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম বাদল প্রমুখ ।